ফুটবল মাঠের সমান মহাকাশের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে জরিপ

ফুটবল মাঠের সমান মহাকাশের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে জরিপ

অনলাইন ডেস্ক

এই পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে মানুষের উৎসাহ ছিলো সবসময়ই। কিন্তু তা এখনো খুঁজে না পাওয়া গেলেও, মহাকাশে এক ঘাঁটি গড়েছেন বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক সেই স্পেস স্টেশনের আকার একটি ফুটবল মাঠের সমান যেখান থেকে মহাকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় গবেষণার কাজ চলে। এই প্রথম সেখানে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চলেছে যা পৃথিবীর বাইরে আগে কখনো হয়নি।

কীভাবে সেখানে নভোচারীরা কাজ করেন, কতখানি এলাকা তাদের কাজে লাগে, সেই নিয়ে গবেষণাপত্র তৈরি করতে গিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। সেই কাজে সহযোগিতা করেছেন নভোচারীরা।

কতখানি জায়গা জুড়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের অবস্থান এবং কতখানি জায়গা নভোচারীরা ব্যবহার করেন, সেই নিয়েই তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার চ্যাপম্যান ইউনিভার্সিটির জাস্টিন ওয়াল্শ এবং তার সহযোগীরা গত ৭ আগস্ট জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছেন।

গত দুই দশকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ২৩টি দেশের ২৭০-এর বেশি নভোচারীরা পা দিয়েছেন। কীভাবে সেখানকার কাজকর্ম চলে, ভিডিও সাক্ষাৎকারে তা একাধিক বার জানিয়েছেন নভোচারীরা। কিন্তু পৃথিবীর বাইরে, বদ্ধ, মাধ্যাকর্ষণহীন জায়গায় কীভাবে কাজ চালান তারা যেগুলো শুধুমাত্র মুখের বর্ণনায় বোঝা সম্ভব নয়।

তাই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের জীবনযাত্রা ও কাজকর্ম সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার কাজে হাত দেন ওয়াল্শ। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নভোচারীরা কী কী ব্যবহার করেন, কোন পদ্ধতিতে কার্য সম্পাদন করেন, বিশদে গবেষণা শুরু হয়।

এক্ষেত্রে শোভেল টেস্ট পিট পদ্ধতি অনুসরণ করেন গবেষকরা, যা প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়। তবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে খোঁড়াখুঁড়ি সম্ভব নয়। তাই ২০২২ সালে ৬০ দিন ধরে রোজ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের ছয় জায়গার খুঁটিনাটির ছবি জড়ো করা হয়। ফলে কোথায় কোন জিনিস রয়েছে, তার কী ব্যবহার, পরিষ্কার বোঝা সম্ভব হয়।

৫ হাজার ৪৩৮টি জিনিসপত্রের বিভিন্ন ব্যবহার খতিয়ে দেখেন গবেষকরা। শরীরচর্চা কেন্দ্র, শৌচাগার সংলগ্ন এলাকায় কম ব্যবহৃত জিনিসপত্র, আবর্জনা মজুত করে রাখা হয় বলে উঠে এসেছে গবেষণায়। সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণের জায়গাটি ব্যবহৃত হয় গুদাম হিসেবে। এই প্রথম পৃথিবীর বাইরে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চললো বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। (সূত্র: এবিপি আনন্দ) 

news24bd.tv/SC