টেশলা কোম্পানির মালিক ইলন মাস্ক পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা সক্রিয় স্যাটেলাইটগুওলোর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছেন। মহাকাশে এখন পর্যন্ত সাত হাজার স্টারলিংক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স। ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ স্যাটেলাইটটি ছিল মাস্কের মহাকাশযান নির্মাণ কোম্পানি স্পেসএক্স-এর তৈরি ও পরিচালিত।
অলাভজনক স্যাটেলাইট ট্র্যাকার ‘সেলসট্র্যাক’-এর সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ছয় হাজার তিনশ ৭৭টি সক্রিয় স্টারলিংক স্যাটেলাইটের পাশাপাশি আরও কয়েকশ নিষ্ক্রিয় বা ডিঅরবিট স্যাটেলাইট রয়েছে স্পেসএক্সের।
এই পরিসংখ্যান কেবল তিন বছরে ছয়গুণেরও বেশি বেড়েছে, যেখানে সব ধরনের অপারেশনাল স্যাটেলাইটের ৬২ শতাংশেরও বেশি দখলে রয়েছে স্টারলিংকের।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে ২০২২ সালে রাশিয়ার মহাকাশযান কোম্পানি ‘সয়ুজ’-এর সঙ্গে উৎক্ষেপনের প্রোগ্রাম বাতিল হওয়ার পর মহাকাশে নিজেদের তৈরি টুল সরবরাহের জন্য স্পেসএক্স রকেটের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হয় ফরাসি স্যাটেলাইট জায়ান্ট ‘ইউটেলস্যাট’-এর সহযোগী স্টার্টআপ ‘ওয়ানওয়েব’।
স্টারলিংক কন্সটেলেশন সম্পূর্ণ করতে ৪২ হাজার স্যাটেলাইট চালু করার পরিকল্পনা করেছে স্পেসএক্স, যা বিশ্বের যে কোনও কোণে উচ্চ-গতির ইন্টারনেট ও ফোনে সংযোগ সরবরাহ করতে সক্ষম।
বর্তমানে ১০২টি দেশে কাজ করে স্টারলিংক। বিশ্বের আরও কয়েক ডজন দেশে নিজেদের পরিষেবা চালুর আশা করছে কোম্পানিটি। কেবল আফগানিস্তান, চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া ও সিরিয়ার মতো দেশে ইন্টারনেট বিধিনিষেধ বা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব দেশ স্টারলিংকের বর্তমান অপেক্ষমাণ তালিকায় নেই।
“এখন সব ধরনের সক্রিয় স্যাটেলাইটের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করে স্টারলিংক,” স্পেসএক্সের সর্বশেষ উৎক্ষেপণের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এমনটাই লিখেছেন মাস্ক।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে করে আরও ২১টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে স্পেসএক্স।
news24bd.tv/DHL