পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকরা দেখতে কেমন 

শারফিন শাহ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকরা দেখতে কেমন 

শারফিন শাহ

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একদিকে পেনশন নিয়ে আন্দোলন করছেন, আর একদিকে ছাত্ররা কোটা নিয়ে। ক্লাস, পরীক্ষা সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। করোনার ধকল এখনও কাটানো যায়নি। লম্বা সেশনজট পড়ে আছে।

এর মধ্যে এইসব বিষয় নিয়ে আন্দোলন আরও হতাশা জাগিয়ে তুলবে, সন্দেহ নেই। এই দুটি আন্দোলনের সঙ্গে আরও কিছু বিষয় নিয়ে আন্দোলন দরকার, যা কেউ মাথায়ই নেয় না। আবাসন সমস্যা, খাদ্য সমস্যা, ক্লাসরুম সমস্যার মতো জটিল কিছু বিষয় নিয়ে কেউ কোনো উচ্চবাচ্য করেন কখনো? তারপর আসবে সিলেবাসের কথা। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠপদ্ধতি, কোর্স ডিজাইনের বিস্তর ফারাক।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ আমেরিকার পদ্ধতি অনুসরণ করে। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সেই মান্ধাতার আমলের সঙ্গেই আছে। বিদেশি ডিগ্রি নিয়েও এসব নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেন না।  
নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন না কেউ। পাশের দেশ ভারতেও পিএইচডি ডিগ্রি শিক্ষক নিয়োগের সর্বোচ্চ দক্ষতা। এর আগে কে কী হাতিঘোড়া মারল, তা বিবেচ্য নয়। কিন্তু এখানে এসএসসির মার্কসিট, এইচএসসির মার্কসিটও দেখা হয়। অথচ ঠিকভাবে বাংলা, ইংরেজিতে একটি প্রবন্ধ লিখতে পারবেন না, এমন শিক্ষকও কিন্তু কম নন। একজন অযোগ্য শিক্ষক একটি জাতির চক্রবৃদ্ধি হারে একশো বছর ক্ষতি করেন। কথাটা আমার নয়, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের কথা। এ নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেন কখনো? বাংলাদেশে সহকারী অধ্যাপক হওয়ার পর বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএ, আরএ হয়ে পিএইচডি করছেন, অথচ এর বহু আগেই পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে, বাংলাদেশে আবেদন করে ব্যর্থ হয়ে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন, এমন স্কলার অঢেল। এদের নিয়ে কেউ ভাবেন? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত ছাত্ররা। যখন এক গাদা সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করে তারা অনার্স, মাস্টার্স করে বের হয়, তখন শুরু হয় আরও ভয়াবহ যুদ্ধ। আমাদের শিক্ষকরা যদি ছাত্রদের স্বার্থের কথা ভাবতেন, তবে আজ তাদের এই আন্দোলনের প্রয়োজন পড়ত না। সবকিছু সুন্দরভাবেই চলত।

news24bd.tv/ডিডি