মতিউররা ধর্ম নিয়েও যেন তামাশা করছেন 

মো. সামসুল ইসলাম

মতিউররা ধর্ম নিয়েও যেন তামাশা করছেন 

মো. সামসুল ইসলাম

এনবিআরের সাবেক আমলা মতিউররা হজে যাচ্ছেন, মসজিদ মাদ্রাসা বানাচ্ছেন,  লোককে সদুপদেশ দিচ্ছেন সেটা কতটুকু ধর্মসম্মত হচ্ছে তা বোধহয় কোনো দিনই চিন্তা করেননি।  
ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হচ্ছে হালাল ইনকাম। এ ধরনের ধর্মপালন কতটুকু কার্যকর হচ্ছে তা তাদের মাথায়ই আসেনি। শত শত এরকম মতিউর আছে আমাদের আশেপাশে।

ঢাকায় জুমার দিনে তো মসজিদে জায়গাই পাওয়া যায় না। এরাই  থাকেন সামনের সারিগুলোতে। চাকরি হারানোর ভয়ে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ঈমাম এদের চৌদ্দগুষ্টির জন্য দোয়া করেন। আমরাও আমিন বলি।
ধর্মে অবিশ্বাসী আমার এক ধনী পেশাজীবি বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম যে, তুমি ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন,অথচ জুমার নামাজ পড়তে যাও কেন? 
তার উত্তর , বোঝো না সমাজে টিকে থাকতে হবে। একটা সোশ্যাল ব্যাপারতো আছে। এই একই কারণেই অনেক দুর্নীতিবাজ আর বাটপাররা মসজিদে যায়, হজে যায়। নাম বলতে চাই না তবে শুনেছি ঢাকায় এরকম দু’একটি মসজিদ আছে যা উচ্চপদস্থদের তদবিরের জন্য  বিখ্যাত। সবাই সেখানে নামাজের জন্য মুখিয়ে থাকেন। নেটওয়ার্কিং করেন। ইবাদত একটা বাহানা মাত্র। ধর্মের মূল স্পিরিটটাই আমাদের মধ্যে নাই। তাই এত দুর্নীতি। এই যে কোরবানির সময় যা হয় তা কতটুকু ধর্মসম্মত। দাম কতো হলো, কয় কেজি মাংস হলোÑ চারিদিকে এরকম প্রশ্ন। যেন একটা প্রতিযোগিতা।  
ঈদের আগের দিন মার্কেটে দেখি টিশার্ট বিক্রি হচ্ছে শার্টের বুকে লেখা একদিনের কসাই! আমি ঈদের দিন ১২ টার দিকেই রিপোর্ট দেখলাম শুধু একটি হাসপাতালেই ৫৫ জন একদিনের কসাইকে নিতে হয়েছে হাত, পা কেটে ফেলার জন্য। কোরবানি তো তিনদিন দেওয়া যায়। আমরা একটু  ধৈর্য্য ধরি। ধর্মের ভাবগাম্ভীর্য, পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা মেনে চলি। রিয়া বা প্রদর্শনেচ্ছা তো ধর্মে নিষিদ্ধ। ধর্মের আধ্যাত্মিকতা এখন অন্তর্হিত। হজে গিয়েও অনেকেই সেলফিতে ব্যস্ত। ধর্মকে তামাশার বিষয় বানিয়ে ফেলেছি আমরা।  

news24bd.tv/ডিডি
 

এই রকম আরও টপিক