ইইউ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জর্জিয়া মেলোনি

জর্জিয়া মেলোনি

ইইউ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জর্জিয়া মেলোনি

অনলাইন ডেস্ক

গত সপ্তাহে চার দিন থেকে ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলে। গতকাল রোববার (৯ জুন)  ছিল ভোট গ্রহণের শেষ দিন। এবার ২১টি দেশের প্রায় ৩৫ কোটি ভোটার ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন। আজ সোমবার থেকে প্রাথমিক গণনার ফলাফল আসতে শুরু করেছে।

 
সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তার দলের নাম ব্রাদার্স অব ইতালি। এটি একটি রক্ষণশীল দল। মেলোনির দল ব্রাদার্স অব ইতালি এবার সবচেয়ে বেশি ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেতে চলেছে, যা দলটির গতবারের (২০১৯) প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে প্রায় চার গুণ।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার দ্য ক্রোর দলের অবস্থা ভালো না। তারা অনেক পিছিয়ে রয়েছেন।  
দ্বিতীয় অবস্থানে যে দরটি রয়েছে এর নাম ডেমোক্রেটিক পার্টি। এটি মধ্যডানপন্থী। ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। দ্য ফাইভ স্টার মুভমেন্ট ১০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল।
২০২২ সালের তুলনায় দেশে মেলোনির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। ২০২২ সালে জোটের পক্ষে ৪৩ শতাংশের কিছু কম সমর্থন ছিল। এখন সেটা বেড়ে ৪৬ শতাংশের বেশি হয়েছে। মধ্যডানপন্থী থেকে কট্টর ডানপন্থী দল নিয়ে মেলোনি জোট সরকার গঠন করেছেন।
বিশ্বজুড়ে ইইউ পার্লামেন্টকে ইউরোপীয় জাতিসত্তার আয়না বলা হয়ে থাকে। ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে কোনো দল থেকে ব্যক্তিবিশেষ সরাসরি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। শুধু দলভিত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।  
১৯৭৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ইতালির রাজধানী রোমে জন্ম হয় মেলোনির। মাত্র এক বছর বয়সে মেলোনি ও তাঁর মাকে ছেড়ে চলে যান বাবা ফ্রান্সেসকো। তিনি ছিলেন বামপন্থী আর মেলোনির মা আনা ছিলেন ডানপন্থী। জল্পনা আছে, বাবার ওপর প্রতিশোধ নিতেই তিনি ডানপন্থী রাজনীতিতে যোগ দেন।
স্বামী চলে যাওয়ার পর মেলোনিকে নিয়ে বাপের বাড়ির কাছাকাছি চলে যান তাঁর মা আনা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্যাসিবাদী একনায়ক বেনিতো মুসোলিনির সমর্থকরা ইতালিয়ান সোশ্যাল মুভমেন্ট (এমএসআই) নামের এক রাজনৈতিক দল গড়েন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সেই দলের যুব শাখায় যোগ দেন মেলোনি। পরে এমএসআইয়ের উত্তরসূরি উগ্র ডানপন্থী জাতীয় জোটের ছাত্র শাখার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
উগ্র ডানপন্থী জাতীয় জোটের প্রচারণার সময় একটি টিভি চ্যানেলকে সেদিনের ১৯ বছর বয়সের মেলোনি বলেছিলেন, ‘মুসোলিনি ছিলেন একজন ভালো রাজনীতিক। তিনি যা করেছেন, তা ইতালির জন্য করেছেন। ’
তবে ২০০৬ সালে জাতীয় জোট থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে সুর পাল্টে ফেলে মেলোনি বলেন, মুসোলিনি ‘ভুল’ করেছিলেন। বিশেষ করে জাতিগত আইন, কর্তৃত্ববাদ জারি করে ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এডল্ফ হিটলারের জার্মানির পক্ষে যোগ দিয়ে।
২০০৮ সালে ৩১ বছর বয়সী মেলোনিকে ইতালির সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি।
এরপর ২০১২ সালে নিজের দল ব্রাদার্স অব ইতালি প্রতিষ্ঠা করেন মেলোনি। এরপর ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী হোন।  

news24bd.tv/ডিডি
 

এই রকম আরও টপিক