মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার শুনানি শুরু

মমতা ও সিভি আনন্দ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার শুনানি শুরু

অনলাইন ডেস্ক

গতকাল মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ বুধবার সেই মামলার শুনানি হয়েছে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে। কিন্তু আজ শুনানিতে আদালত কোনো সওয়াল করেননি। আগামী বৃহস্পতিবার ( ৪ জুলাই) এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে যে আইনজীবীরা এই মামলা লড়ছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক দুই এজি জয়ন্ত এবং সৌমেন্দ্রনাথ। অন্যদিকে রাজ্যপালের হয়ে এই মামলা লড়ছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল ধীরাজ ত্রিবেদী। এই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত।
আজ বুধবার বিচারপতি কৃষ্ণা  রাও নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্য যে সব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাদেরকেও এই মামলায় যুক্ত করতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূলের দুই প্রার্থীর শপথ  শপথ গ্রহণের স্থান নিয়ে রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যপাল চান, শপথ হবে রাজভবনে অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন শপথ হবে বিধানসভা ভবনে।
দুই মাস আগে রাজভবনের এক নারী কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে।
মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সঞ্জয় বসু এর আগে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা যখন নিজেই একজন নারী, তখন তিনি আরো বেশি নারীদের যন্ত্রণার কথা বুঝবেন। ’ 
উল্লেখ্য, রাজভবনের এক অস্থায়ী নারী কর্মী হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।  
মুখ্যমন্ত্রী মমতা অভিযোগ করে বলেছেন, রাজভবন নারীদের জন্য নিরাপদ নয়।
রাজ্যপাল ২৬ জুন রাজভবনে শপথ গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু তৃণমূলের দাবির কারণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিত হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়েই মানহানির মামলা করেছেন রাজ্যপাল।  
এদিকে বিধানসভা ভবনে শপথ গ্রহণের দাবিতে ২৬ জুন থেকে আম্বেদকরের ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন তৃণমূলের জয়ী বিধায়করা।
শপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‌জেতার পরও একমাস ধরে আমার বিধায়করা বসে আছেন। রাজ্যপাল শপথ নিতে দিচ্ছেন না। মানুষ তাদের নির্বাচিত করেছে। তার কী অধিকার আছে শপথ নিতে বাধা দেওয়ার? হয় স্পিকারকে এই অধিকার দিন, নয়তো ডেপুটি স্পিকারকে দিন। আর কিছুই না হলে নিজে বিধানসভায় যান।  তার রাজভবনে কেন সবাই যাবে? রাজভবনে যা কীর্তি–কেলেঙ্কারি চলছে, এতে মেয়েরা সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে। ’
মামলা দায়েরের পর রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘কেউ যদি আমার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেন, তবে তাকে ভুগতে হবে। ’ খবর, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজার 

news24bd.tv/ডিডি