বুথফেরত জরিপের কোনো গুরুত্ব নেই: মমতা

শ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুথফেরত জরিপের কোনো গুরুত্ব নেই: মমতা

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে কেন্দ্রফেরত জরিপের জয়-পরাজয়ের আভাস আমলে নিচ্ছেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, এগুলোর কোনো গুরুত্ব নেই।

রোববার ভারতের ‘টিভি নাইন-বাংলা’কে তিনি বলেছেন, “২০১৬, ২০১৯ ও ২০২১ এর নির্বাচন নিয়ে কীভাবে কেন্দ্রফেরত জরিপ কীভাবে করা হয়েছে, তা আমরা দেখেছি। এগুলোর কোনোটিই সত্য বলে প্রমাণিত হয়নি।

গত শনিবার শেষ হয়েছে সাত ধাপে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচন, যা শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। এ দিন সন্ধ্যার পর একে একে প্রকাশ করা হয় বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের করা কেন্দ্রফেরত জরিপের সম্ভাব্য ফলাফল।

অধিকাংশ জরিপে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি মধ্যে এবার মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির বেশি আসন জয়ের আভাস এসেছে। এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিজেপির নেতাকর্মীরা।

এমন কি মমতার জনপ্রিয়তা কমার ‘প্রমাণ’ হিসেবেও কেউ কেউ দেখছেন বিষয়টিকে।

তবে এসব আভাসকে পাত্তা দিচ্ছেন না মমতা। কেন্দ্রফেরত জরিপকে ঘরে বসে কিছু মানুষের ‘বানানো ফল’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

“সংবাদমাধ্যমের খোরাক হিসেবে দুই মাস আগে কিছু মানুষ ঘরে বসে তৈরি করেছে এসব কেন্দ্রফেরত জরিপ। এগুলোর কোনো মূল্য নেই। ”

নির্বাচনের সময় তার সমাবেশে মানুষের যে সাড়া পেয়েছেন, তার সঙ্গে জরিপের ফলাফলের কোনো মিল দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

টিভি নাইন-বাংলাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ”যেভাবে বিজেপি মেরুকরণ করেছে, তফিসলভুক্ত হিন্দুদের চাকরি মুসলানরা কেড়ে নিচ্ছে বলে যেভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে, তাতে আমরা মনে হয় না মুলমানরা বিজেপি ভোট দিয়েছে। তবে আমরা মনে হয় পশ্চিমবঙ্গে সিপিআই (এম) ও কংগ্রেস বিজেপিকে সাহায্য করেছে। ”

ভারতে উগ্র হিন্দুত্বাবাদী দল বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার এবং এর প্রধানমন্ত্রী মোদীর কট্টর সমালোচক মমতা, যার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে নেমে প্রত্যাশিত ফলাফল এনে দিতে ব্যর্থ হন মোদী।

২০১৬ ও ২০১৯ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধান প্রচারক হিসেবে মাঠে ছিলেন ভারতের রাজনীতিতে ‘ম্যাজিক ম্যান’ খ্যাত মোদী। ম্যাজিক খুব কাজে না এলেও ওই তিনবারের নির্বাচনে মোদীর জোরেই পশ্চিমবঙ্গে ক্রমেই আসন বেড়েছে বলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করে।

তবে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে জাতীয় ও স্থানীয় ইস্যুতে পার্থক্য দেখা যায়। ভারতকে দেশ হিসেবে ‘বিশ্বগুরু’ বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চেয়েছেন মোদী।

২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির লোকসভা আসন ছিল দুটি, ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮টি। এবার তা তৃণমূলকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশা করছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নেতা ও বিধানসভায় বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

কেন্দ্রফেরত জরিপ অনুযায়ী, ৩৫০ থেকে ৪০০ আসন নিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে বিজেপি। তা যদি হয়, তাহলে ভারতের প্রধান প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহেরুর পর প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিল্লির মসনদে বসছেন নরেন্দ্র মোদী।

news24bd.tv/DHL