সুন্দরবনে মৃত বন্যপ্রাণীর মিছিল, রয়েছে ৯৬টি হরিণ 

সুন্দরবনে মৃত বন্যপ্রাণীর মিছিল, রয়েছে ৯৬টি হরিণ 

বাগেরহাট প্রতিনিধি

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমেলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড সুন্দরবনে মারা যাওয়া বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন নদ-নদী ও চর থেকে একশটি মারা যাওয়া বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে বনরক্ষীরা। উদ্ধার বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে ৯৬টি হরিণ ও ৪টি বন্য শুকর।

সুন্দরবনে একটানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে চলা এই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ছোবলে মারা যাওয়া এসব বন্যপ্রাণী মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে।

এখন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মারা যাওয়া বন্যপ্রাণীর সংখ্যা। উদ্ধার করা এসব মৃত বন্যপ্রাণী ম্যানগ্রোভ বনে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। সন্ধ্যায় বন বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো জানান, সুন্দরবনের ওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় ঘূণিঝড় রিমাল।

ওই সময়ে ৩৬ ঘণ্টারও অধিক সময় ধরে রেমালের জলোচ্ছ্বাসে ডুবে ছিল সুন্দরবন। দীর্ঘসময় ধরে সুন্দরবন জলমগ্ন থাকায় বন্যপ্রাণীর হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এ কারণে হরিণসহ অন্যসহ বন্যপ্রাণীর শাবক বেশি মারা গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যর পর্যন্ত সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, শেলারচর, নীলকমল ও নারিকেলবাড়িয়া এলাকা থেকে মৃত ৯৬টি হরিণ ও ৪টি মারা যাওয়া বন্যশুকর উদ্ধার করা হয়েছে। আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৮টি জীবিত হরিণ ও একটি অজগর সাপ। এই ১৮টিসহ এর আগে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা আরও ১৭টি হরিণকে চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত করেছে। নদী ও চর থেকে এসব মৃত ও আহত হরিণ উদ্ধার করা হলে এখন বনের অভ্যন্তরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে অনেক বন্যপ্রাণী ভেসে গেছে। মাছ আহরণে বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় সাগরে ভেসে মারা পড়া বাঘ হরিণসহ সব মৃত বন্যপ্রাণী কখনোই উদ্ধার সম্ভব হবে না। গহীন অরণ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় ও সমুদ্রে ভেসে যাওয়া মৃত্য বন্যপ্রাণীর সঠিক হিসেব কখনোই পাওয়া যাবে না।

news24bd.tv/তৌহিদ