লোকালয়ে আসা তিনটি হরিণ ফিরে গেল সুন্দরবনে

লোকালয়ে আসা তিনটি হরিণ ফিরে গেল সুন্দরবনে

 বাগেরহাট প্রতিনিধি:

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভারাণী নদী সাঁতরে লোকালয়ে আসে তিনটি চিত্রা হরিণ। দুটি হরিণ স্থানীয়রা ধরে বনে অবমুক্ত করে। অন্য হরিণটি ধরতে গেলে সে নিজেই নদী পার হয়ে বনে ফিরে যায়।

বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া গ্রামে ঢুকে পড়ে হরিণগুলো।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর পুকুরগুলো লবণ পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীদের খাবার পানির না থাকা ও মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় হরিণ দুটি লোকালয়ে চলে আসে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন বিভাগ ও বন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী রক্ষায় ওয়াইল টিমের শরণখোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠ কর্মী আলম হাওলাদার জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হরিণগুলো বগী-শরণখোলা ভারাণী নদী সাঁতরে দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া গ্রামের শাহ আলমের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ওয়াইল্ড টিম ও ভিলেজ টাইগার টিমের (ভিটিআরটি) সদস্যসহ গ্রামবাসী মিলে একটি হরিণ ধরে।

রাতেই সেটি পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশনের বনরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্য হরিণটি ধরার চেষ্টা করলে সেটি নিজেই নদী সাঁতরে সুন্দরবনে চলে যায়। স্ত্রী হরিণ দুটির বয়স এক বছর হবে বলে জানান ওয়াইল্ড টিমের এই মাঠকর্মী।

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান বলেন, রাতের অন্ধকারে নদী সাঁতরে তিনটি হরিণ বনের পাশের গ্রামে চলে যায়। এক বছর বয়সি স্ত্রী দুটি হরিণ স্থানীয়দের সহযোগিতায় বনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর পুকুরগুলো লবণ পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বন্যপ্রাণীদের খাবার পানি না থাকা ও মশার উপদ্রব আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনে টিকতে না পেরে লোকালয়ে চলে আসে। লোকালয়ে চলে আসা বন্যপ্রাণীদের কোনো প্রকার ক্ষতি না করতে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি লোকালয় সংলগ্ন বন অফিসগুলোর বনরক্ষীদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।  

news24bd.tv/কেআই

এই রকম আরও টপিক