পশুবাহী ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

সংগৃহীত ছবি

পশুবাহী ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

অনলাইন ডেস্ক

কোরবানির পশুবাহী কোনো ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (২১ জুন) ডিএমপি সদরদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা, মানি এসকর্ট, জালনোট শনাক্তকরণ, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিশেষ এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে হাটের চৌহদ্দির বাইরে কোনো গরু রাখা যাবে না। রাস্তায় গরু রাখা যাবে না। আগামী ২৫ জুনের আগে কোনো গরু হাটে তোলা যাবে না।

ইজারাদারদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পশুবাহী কোনো ট্রাক থেকে কোথাও গরু নামাতে বাধ্য করা যাবে না।

হাটে নেওয়ার জন্য গরু নিয়ে টানাটানি করা যাবে না। ব্যবসায়ীকে তার পছন্দমতো হাটে গরু নিয়ে যেতে দিতে হবে।

পুলিশি সহায়তা পেতে কোন হাটে গরু নিয়ে যাবে সেটা লিখে ট্রাকের সামনে ব্যানার টানিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ প্রদান করেন কমিশনার।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের পশু বিক্রির টাকা পরিবহনে ডিএমপির এসকর্ট ব্যবস্থা থাকবে। টাকা পরিবহনে পুলিশ সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেবে।

পুরো পশুর হাট ও গরু ব্যবসায়ীদের খাবার হোটেলগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে ইজাদারদের পরামর্শ প্রদান করা হয়। এবার ঢাকা মহানগরীতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ২১টি পশুর হাট বসবে।

সভায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়ক, রেল ও নৌ-যান চলাচল এবং যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা মনিটরিংসহ সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা করা হয়।

ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, র্যাব, নৌ-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, এপিবিএন, ফায়ার সার্ভিস, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও মহানগর এলাকার পশুরহাটের ইজারাদাররা সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

News24bd.tv/aa