কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ১১ দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন পুলিশ লাইন্সে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন অধস্তন পুলিশ সদস্যরা।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার, ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করতে বাধ্য না করা, বেশি ডিউটি করলে ওভার ডিউটির সুবিধা প্রদান, শুক্রবার, শনিবারসহ সব সরকারি ছুটি ভোগের সুযোগ প্রদান, দেশের স্বার্থে ছুটি কাটাতে না পারলে অতিরিক্ত কর্মদিবস হিসাবে আর্থিক সুবিধা প্রদান, সোর্স মানি প্রদান, ঝুঁকিভাতা বৃদ্ধি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশদানে সংবিধান ও জনগণের মনের কাঙ্ক্ষিত বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া, পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করা, নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা, পদোন্নতির পদক্ষেপ গ্রহণ করে বৈষম্য দূর করা, বদলির ক্ষেত্রে নিজ জেলার নিকটবর্তী জেলার প্রাধান্য নিশ্চিত করা, পুলিশ সংস্কার আইন প্রণয়ন করা। কর্মসূচিতে কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে ডেস্ক রিপোর্ট:
হবিগঞ্জে ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি:
সারাদেশের ন্যায় কর্মবিরতি পালন করছেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির এই কর্মসূচিতে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পুলিশ অফিসারদের বিভিন্ন অন্যায়য়ের কথা তুলে ধরে তাদের শাস্তি দাবি করেন।
আমরা জনগণের পুলিশ, সরকার বা রাজনৈতিক পুলিশ নয়, ১১ দফা দাবিতে বগুড়ায় কর্মবিরতিতে পুলিশ।
১১ দফা দাবিতে দিনাজপুরেও আজ বিকালে বিক্ষোভ করেছে পুলিশের সদস্যরা
১১ দফা দাবিতে নেত্রকোনা পুলিশ লাইনে বিক্ষোভ করেছে তারা।
যশোরে সহকর্মী হত্যার বিচারসহ ১১ দফা দাবিতে পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়েছে।
সারদায় পুলিশ একাডেমিতে বিক্ষোভ : রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন পুলিশবাহিনীর সদস্যরা। একাডেমির ভেতরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি একাডেমির ভেতরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা স্লোগান দেন-পুলিশ সদস্য মরল কেন বিচার চাই, বিচার চাই। স্লোগানে স্লোগানে একাডেমি এলাকাসহ আশপাশের এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমরা দেশের জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনকালে আমাদের নিরীহ সদস্যদের খুন করা হয়েছে। আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছিলাম। তাহলে কেন আমাদের থানা জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের হত্যা করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ একাডেমির একজন উপপরিদর্শক বলেন, আমরা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের সহকর্মীরা মারা যাবেন আর সিনিয়র অফিসাররা ঘরে বসে থাকবেন, এটা হবে না।
তিনি বলেন, রাজশাহীর অনেক সিনিয়র অফিসার পুলিশ একাডেমিতে এসে আত্মগোপনে ছিলেন। আমাদের দাবি, তারা একাডেমিতে থাকতে পারবেন না।
এ সম্পর্কে পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ফারুক আহম্মেদ বলেন, আসলে বিক্ষোভ নয়, তারা কিছু কথা বলেছেন।
news24bd.tv/কেআই