রুশ সেনাপ্রধান ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রুশ সেনাপ্রধান ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

রুশ সেনাপ্রধান ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

অনলাইন ডেস্ক

রুশ সেনাপ্রধান ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ইউক্রেনের অবকাঠামোতে হামলার জন্য অভিযোগে মঙ্গলবার (২৫ ‍জুন) এই নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে।  

এই পরোয়ানা সোমবার জারি করা হলেও মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।

চিফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুয়ের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আদালতের ধারাবাহিক পদক্ষেপের মধ্যে এটিই সর্বশেষ। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল আইসিসি।
আইসিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, এই দুইজনের বিরুদ্ধে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পাশাপাশি ইউক্রেনে অমানবিক কাজ করার জন্য যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

আইসিসির বিচারকরা বলেছেন, বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত অনেক কারণ রয়েছে, এই দুই সন্দেহভাজন ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত ইউক্রেনীয় বৈদ্যুতিক অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হামলার জন্য দায়ী। সেখানে হামলা করার জন্য রুশ সশস্ত্র বাহিনীকে পরিচালিত করেছেন তারা।  

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এই দুইজনকে প্রতিরোধের আশা করেছিল ইউক্রেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে জেলেনস্কি বলেন, এই সিদ্ধান্ত একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত। যা ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে রুশ অপরাধের বিচার অনিবার্য।

এদিকে রাশিয়া এই পরোয়ানাকে তুচ্ছ বলে খারিজ করেছে।

রুশ নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, ‘এগুলো সব ফাঁকা বুলি। কারণ রাশিয়াকে কিছু করার এখতিয়ার রাখে না আইসিসি। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে পশ্চিমের হাইব্রিড যুদ্ধের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।

হেগে অবস্থিত আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য নিজস্ব পুলিশ বাহিনী নেই।

এটি ১২৪ সদস্যের বিচার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। পরোয়ানা জারির অধীনে যে কেউ গ্রেপ্তারের ভয়ে আইসিসি সদস্যদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্যেই কিরগিজস্তান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমন করেছেন পুতিন। এ দেশগুলোর কোনোটাই আইসিসি সদস্য নন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা) জোটের সম্মেলনে যাননি। কারণ তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা হবে বলে ধারনা করা হয়েছিল।

গত মাসে শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে প্রতিস্থাপন করেন পুতিন। ৬৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে ২০১২ সালে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়েছিল। ক্রেমলিন জানিয়েছে, জেনারেল স্টাফের প্রধান হিসেবে গেরাসিমভকে প্রতিস্থাপন করার কোনো পরিকল্পনা নেই।

এই বছরের মার্চে ইউক্রেনের অবকাঠামোতে হামলার জন্য দুই সিনিয়র রুশ কর্মকর্তা সের্গেই ইভানোভিচ কোবিলাশ ও ভিক্টর নিকোলায়েভিচ সোকোলভের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আইসিসি।

news24bd.tv/আইএএম