বিশ্বের ১২ কোটি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বের ১২ কোটি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

অনলাইন ডেস্ক

সারা বিশ্বে ২০২৩ সালে রেকর্ড ১১ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার মানুষ জোরপূর্বকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বৈশ্বিক পর্যায়ে বড় ধরনের ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, চলমান গাজা সংঘাত, ইউক্রেন যুদ্ধ, আফগানিস্তান সংকট এবং সুদানের গৃহযুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। সে হিসেবে বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ অর্থাৎ প্রতি ৬৯ জনে ১ জন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন।

এদের অনেকে আভ্যন্তরণীভাবে নিজ দেশেও বাস্তুচ্যুত। আর এই সংখ্যা চলতি বছরের প্রথম চার মাস বাড়তে থাকে এবং এপ্রিলের শেষ নাগাদ ১২ কোটিতে অতিক্রম করে। গাজা, সুদান ও মিয়ানমারের মতো বিভিন্ন সংঘাত লোকজনকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করছে।

ইসরাইল-গাজা সংঘাত, ইউক্রেন যুদ্ধ ও সুদান সংকটে লাখ লাখ উদ্বাস্তু নতুন করে যোগ হওয়ায় বিশ্ব জুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড ১২ কোটিতে পৌঁছেছে।

এরমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি সংকটে রয়েছে সিরিয়া। দেশটিতে ঘরহারা মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ।  

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণ বাস্তুচ্যুতির এসব ঘটনার পেছনে সংঘাত অন্যতম প্রধান অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। ’

এর আগে, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা হয়েছিল ১১ কোটি। ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ, আফগানিস্তান সংকট এবং সুদানের গৃহযুদ্ধের কারণে সেই বছর শরণার্থীর মোট সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এদের অনেকে অভ্যন্তরীণভাবে নিজ দেশেও বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সংস্থাটির বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালজুড়ে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ বাস্তুহারা হয়। যুদ্ধ-সহিংসতায় নিজ দেশ ও ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ। ইউএনএইচসিআর তার গ্লোবাল ট্রেন্ডস ইন ফোর্সড ডিসপ্লেসমেন্ট নামক বার্ষিক প্রতিবেদনে এসেছে, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ ১০ কোটি ৮৪ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক