ডজনে ৪০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম

ডিম

ডজনে ৪০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম

অনলাইন ডেস্ক

বাজারে এক হালি লাল ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। একটি ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। সেই হিসেবে ডিমের ডজন এখন ১৬০ টাকা অন্যদিকে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ এলেও আগের সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। ফলে নিত্যপণ্য হিসেবে পেঁয়াজ আর ডিমের দাম বাড়তি থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমনই দাম লক্ষ করা গেছে।

১০-১৫ দিন আগেও খুচরা বাজারে লাল ডিমের ডজন ১২০ টাকা থাকলেও কিছুদিনের ব্যবধানে এখন সেটির ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আর প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। আর সে অনুযায়ী প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা।

এ বিষয়ে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমে ডিম উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, বাজারে সরবরাহ কমেছে, ফলে দাম বাড়তি যাচ্ছে।

মালিবাগ বাজারে ডিম কিনে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেসরকারি চাকরিজীবী আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ভাবা যায় এক ডজন ডিম কিনলাম ১৬০ টাকায়,  যা কিছুদিন আগেই ছিল ১২০ টাকা। হঠাৎ করে ডজনে ৪০ টাকা বেড়ে গেল অথচ সংশ্লিষ্ট কারও কোনো উদ্যোগ নেই বাজার নিয়ন্ত্রণের। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কাছে আমরা সাধারণ ক্রেতারা কতটা জিম্মি হয়ে আছি তা জেনেও সবাই চুপচাপ। বাজার মনিটরিংয়ের লোকজন আসলে কী করছে?

ডিমের দাম বাড়তি বিষয়ে গুলশান সংলগ্ন লেকপাড় বাজারের লিপন ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক সুমন মিয়া বলেন, কিছুদিন ধরে ডিমের দাম বাড়ছে। কিছুদিন আগে যেই ডিমের ডজন বিক্রি করেছি ১২০ টাকায় এখন সেটা ১৬০ টাকা। আর হালি বিক্রি করছি ৫৫ টাকায়। আমরা যখন পাইকারি বাজার থেকে ডিম আনি বা দোকানে দিয়ে যায় তারা ডিমের বাড়তি দামের কিছু কারণ দেখিয়েছে। আসলে অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রান্তিক পর্যায়ে ডিমের উৎপাদন কম হয়েছে, ফলে বাজারে সরবরাহ কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।  

তিনি বলেন, তীব্র গরমে মুরগি মরে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে আগেভাগেই মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন খামারিরা, আর এতে করে ডিমের উৎপাদন কম হচ্ছে। তাই ডিমের দাম বাড়ছে। এছাড়া অনেকে বলছেন মধ্যস্বত্ব ভোগীরা ডিমের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ডিমের দাম বাড়িয়েছে। আসলে সঠিক কারণ কোনটা তা আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীরা বলতে পারব না।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক