১ শতাংশ মানুষের সম্পদ বেড়েছে ৪২ ট্রিলিয়ন ডলার: অক্সফাম

ডলার

১ শতাংশ মানুষের সম্পদ বেড়েছে ৪২ ট্রিলিয়ন ডলার: অক্সফাম

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তির সম্পদ গত ১০ বছরে বেড়েছে ৪২ ট্রিলিয়ন বা ৪২ লাখ কোটি। বিশ্বের অর্ধেক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত সম্পদের চেয়ে যা ৩৬ গুণ বেশি। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য গ্রুপ অব ২০ বা জি২০ সামিটকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাধনতিক দাতা সংস্থা অক্সফাম এক রিপোর্টে এ তথ্য জানায়। চলতি সপ্তাহে রিও ডি জেনিরোতে জি২০-এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এতে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা অংশ নেবেন। সেখানে ধনীদের ওপর কর ধার্যের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কীভাবে আরও কার্যকরভাবে অতি ধনীদের কাছ থেকে কর কেটে নেওয়া যায়, সে বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

অক্সফাম জানিয়েছে, ধনীদের কাছ থেকে কর কেটে নেওয়ার হার ইতিহাসে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।

বাড়াবাড়ি মাত্রার বৈষম্যের ব্যাপারে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

তারা জানিয়েছে, এটা পুরো বিশ্বেরই চিত্র। বিশ্বের শত কোটিপতিদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনে চারজন জি২০ভুক্ত দেশগুলোতে তাঁদের বসতি স্থাপন করেছেন। এ ছাড়া এই দেশগুলো বিশ্বের মোট জিডিপির ৮০ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকারী।

গত ১০ বছরে অতি ধনী ১ শতাংশ মানুষের আয় বেড়েছে গড়ে চার লাখ ডলার। এর বিপরীতে দারিদ্র্যসীমার তলানিতে থাকা ব্যক্তিদের আয় বেড়েছে ৩৩৫ ডলার।

সামিটের আয়োজক দেশ হিসেবে ব্রাজিল আন্তর্জাতিকভাবে সম্মতি আদায় করে অতি ধনীদের সম্পদের ওপর বেশি করে কর বসাতে চায়। এর পাশাপাশি কর ফাঁকি দেওয়ার পথগুলো বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চান সদস্যভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা।

ধনীরা তাঁদের আয়ের মাত্র ০.৫ শতাংশ সম্পদ কর হিসেবে প্রদান করে থাকেন।

ধনীদের ওপর বেশি করে কর ধার্যের পরিকল্পনাকে ‘জি২০-এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জন্য আসল লিটমাস পরীক্ষা’ বলে উল্লেখ করেছে অক্সফাম। একই সঙ্গে ধনীদের সম্পদের ওপর বার্ষিক অন্তত ৮ শতাংশ হারে কর বসানোর অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

সামিটে কর বসানোর বিষয়টি নিয়ে জোরালো বিতর্ক হতে পারে। স্পেন, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, কলম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফ্রিকান ইউনিয়ন কর বসানোর পক্ষে কথা বলতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এর বিরোধিতা করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের হেড অব ইনইক্যুয়ালিটি পলিসির প্রধান ম্যাক্স লসন বলেছেন, ‘অধিক হারে কর ধার্যের বিষয়টি জোরেশোরেই উপস্থাপন করা হবে। কিন্তু বিশ্ব নেতারা শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের বিপরীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেবেন কি না সেই প্রশ্ন থাকছেই। ’ 

সূত্র : এএফপি

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক