৫ বছরে আওয়ামী লীগ নেতার সম্পদ বেড়ে ১০৫ গুণ

আওয়ামী লীগ নেতার আলিসান বাড়ি

৫ বছরে আওয়ামী লীগ নেতার সম্পদ বেড়ে ১০৫ গুণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল। তিনি ২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হোন।  

এরপর পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১০৫ গুণ। হরিপুর উপজেলায় করেছেন একটি আলিসান বাড়িও।

তবে এবারে ২০২৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে হেরে গেছেন তিনি।

২০২৪ সালে উপজেলা নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্যমতে, ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় জিয়াউল হাসান মুকুলের নগদ অর্থ ছিল ৫০ হাজার টাকা। আর এবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হলফনামায় দেখানো হয়েছে ২৭ লাখ ৬ হাজার ৬৮৫ টাকা।

অর্থাৎ তার নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৫৪ গুণ।

২০১৯ সালে তার স্ত্রী রেখা আক্তার বানুর হাতে নগদ কোনও টাকা না থাকলেও এবার হলফনামায় দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩৪৪ টাকা।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৮৫ হাজার ৭৫৩ টাকা। ৫ বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৯০ লাখ টাকায়। সে হিসাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১০৫ গুণ। স্ত্রী রেখা আক্তার বানুর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৫ বছর আগে জমা ছিল ৩৬ হাজার ৯৭১ টাকা। ৫ বছর পর সেই টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ। অর্থাৎ স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ বেড়েছে ২৭ গুণ।

এছাড়া ২০১৯ সালের নির্বাচনের হলফনামায় কৃষি খাত থেকে ৫০ হাজার, শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র থেকে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ টাকা আয় উল্লেখ করেছিলেন তিনি। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের হলফনামায় কৃষি খাত থেকে ৩৪ হাজার, শিক্ষকতা থেকে ৪ লাখ ৩ হাজার ৪১৭ টাকা ও চেয়ারম্যান পদের সম্মানী বাবদ ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় উল্লেখ করেছেন। সেই হিসাবে ২০১৯ সালে তার মোট আয় দেখিয়েছিলেন ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩০ টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৪১৭ টাকা।  

অন্য দিকে ২০১৯ সালে তার স্ত্রী রেখা আক্তার বানুর আয় ছিল ৩ লাখ ৪ হাজার ৩৯২ টাকা, এবার তা বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ টাকা। এ ছাড়া ২০১৯ সালের হলফনামায় স্ত্রীর নামে ২০ ভরি স্বর্ণ দেখালেও এবার হলফনামায় নিজ নামে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার দেখিয়েছেন তিনি।

হলফনামার বিষয়ে জানার জন্য কয়েক দফায় জিয়াউল হাসান মুকুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে হয়তো কোন ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।

হলফনামায় তিনি একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এবং তার স্ত্রী রেখা আক্তার বানু একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

news24bd.tv/কেআই

এই রকম আরও টপিক