সুবর্ণচরে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন এমপি একরাম পুত্র সাবাব 

ইশরাক সাবাব চৌধুরী

সুবর্ণচরে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন এমপি একরাম পুত্র সাবাব 

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী। তার নির্বাচনী মার্কা ছিল আনারস।  

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম (দোয়াত কলম) ৭০৩ ভোট কম পরাজিত হন।

বুধবার রাত ১০ টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

 

উপজেলা নির্বাচন রির্টানিং কর্মকর্তা বলেন, চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৪৮ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৫ ভোট। বেসরকারি ফলাফলে শাবাব চৌধুরী ৭০৩ ভোট ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।

বিজয়ী ঘোষণার পর, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বিজয় মিছিল করেন সাবাবের অনুসারী কর্মী -নেতাসহ সাধারণ ভোটারগণ। এ সময় চায়ের দোকান বাজার, মহল্লা ও পাড়ায় পাড়ায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

বিজয় পরবর্তী অনুভূতিতে সাবাব চৌধুরী বলেন, আজকের এই বিজয় সুবর্ণচরের প্রতিটি সাধারণ ভোটারদের বিজয়। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আজকের এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র ছিল, সুবর্ণচরের সাধারণ ভোটারদের তৎপরতার মুখে তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। সকলকে একসঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার অভিমত ব্যক্ত করেন ২৬ বছর বয়সী নবনির্বাচিত তরুণ এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

জানা যায়,  উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৬১টি কেন্দ্রে এক লাখ পাঁচ হাজার ৬০৯ জন নারী ভোটার, এক লাখ ১৯ হাজার ৫৭৮ জন পুরুষ ভোটার ও একজন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটারসহ মোট দুই লাখ ২৫ হাজার ১৮৮ জন ভোটার এ উপজেলায়। এরমধ্যে ৭৪ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়েছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। সে হিসেবে প্রায় ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সকাল থেকে সুবর্ণচর উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। তবে সকালে বৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো বাতাস থাকার কারণে  প্রথম দুই ঘণ্টায় (সকাল ৮-১০ টা পর্যন্ত) ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম৷ পরে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় বেলা ১০ টা থেকে ভোট কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।  

তখন ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে তকরা তারুণ্যকে নেতৃত্বে নিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। অবশেষে সেই তরুণ শক্তিতে নেতৃত্বে নিয়ে এসেছেন তারা।

দুপুরের দিকে চরবাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মো. ইসহাক মিয়া জানান,  বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি প্রথম ২ ঘণ্টা কম ছিল। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা কোনও কেন্দ্রে একেবারেই কম ছিল। তবে সকাল ১০ টার পর থেকে নারী -পুরুষ উভয় ভোটারের উপস্থিতি বাড়ে। পরে একটানা দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন।

এর আগে সকালে উভয় প্রার্থী নিজ নিজ কেন্দ্রে  ভোট দেন এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছিলেন। এ সময় তারা বলেন,  শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।

এ উপজেলা নির্বাচনে ৬শ পুলিশ, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ১ হাজার আনসার ও র‌্যাব সহ ব্যাপক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে ছিল । তবে  নির্বাচনকে ঘিরে উভয়ের ছিল অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ।

উল্লেখ্য, সুর্বণচরের ৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ ও ২৩টিকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচন ও ভোট-পরবর্তী সহিংসতা রোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।  

news24bd.tv/কেআই