বাগেরহাটে মায়ের কবরের পাশে শায়িত হবেন কবি মোহাম্মদ রফি

সংগৃহীত ছবি

বাগেরহাটে মায়ের কবরের পাশে শায়িত হবেন কবি মোহাম্মদ রফি

অনলাইন ডেস্ক

রোববার রাত সাড়ে ৯টায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন কবি মোহাম্মদ রফিক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মোহাম্মদ রফিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর অনুজ মোহাম্মদ তারেক।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, রোববার সকালেই দুই ছেলে শুভব্রত রফিক, শুদ্ধসত্ত্ব রফিকসহ ঢাকা থেকে বাগেরহাটের বৈটপুরে নিজের গ্রামে গিয়েছিলেন কবি। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে বরিশালে চিকিৎসক ছোট বোন শিরিন সুলতানার বাড়ি গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

সুস্থ বোধ করলে ঢাকায় ফেরার পথে মাদারীপুরের কাছে এসে বুকে চাপ অনুভব করেন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

১৯৬০-এর দশকের আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ প্রগতিশীল সংগ্রামে মোহাম্মদ রফিক সক্রিয় ছিলেন।

জন্মেছিলেন ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর, বাগেরহাটে। শিক্ষক পিতার বদলির চাকরির সুবাদে ছাত্র ছিলেন বিভিন্ন জেলার বিদ্যায়তনের। যৌবনে জড়িয়ে পড়েন বামপন্থী রাজনীতিতে। এ সময়েই ঝুঁকে পড়েন কবিতা লেখায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৬৭ সালে স্নাতকোত্তর হন।

১৯৭০ সালে বেরোয় মোহাম্মদ রফিকের প্রথম কবিতার বই বৈশাখী পূর্ণিমা। গদ্য-পদ্য মিলিয়ে তাঁর বইয়ের সংখ্যা তিরিশের বেশি। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ধুলোর সংসারে এই মাটি, কীর্তিনাশা, গাওদিয়া, কপিলা, খোলা কবিতা ইত্যাদি। তাঁর কবিতায় আছে লৌকিক বাংলার উদযাপন।

পেশাজীবনে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা।

মৃত্যুর আগে কবি বলে গেছেন তাঁর মৃত্যু নিয়ে আড়ম্বর না করতে। কবর দিতে বলেছেন বাগেরহাটের বৈটপুরে। ঢাকায় আনার পথে তাঁর মৃত্যু হলে গাড়ি তাই আবার বাগেরহাটের দিকে ঘুরিয়ে নেওয়া হয়। তাঁকে সমাহিত করা হবে মায়ের কবরের পাশে।

news24bd.tv/আইএএম