একুশে বইমেলার প্রথম দিন গতকাল বুধবার অনন্যা প্রকাশনী মেলায় এনেছে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ‘যে জীবন আমার ছিল’। এক অর্থে এটি ইমদাদুল হক মিলনের আত্মজীবনী, আরেক অর্থে স্মৃতিকথা। জীবনের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা হাজারো স্মৃতির কথামালা নিয়ে রচিত এই গ্রন্থ।
ইমদাদুল হক মিলনের জন্ম ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ সালে তখনকার ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে।
এরপর দেশ-বিদেশে বহু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘একুশে পদক’।
‘যে জীবন আমার ছিল’ গ্রন্থে ইমদাদুল হক মিলন তুলে ধরেছেন শৈশব-কৈশোর থেকে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত তাঁর জীবনের বহু বর্ণিল আখ্যান। লেখক জীবনের শুরু থেকে যেসব লেখক-কবির স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছেন, সেই সব লেখক-কবির কথা এই গ্রন্থে চিত্রিত করেছেন মোহনীয় ভাষায়।
ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘এ বছর আমার লেখক জীবনের ৫০ বছর। আমার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। ‘যে জীবন আমার ছিল’ গল্প-উপন্যাস নয়; আমার আত্মজীবনী। ছেলেবেলা থেকে শুরু করে এখনকার জীবন এসেছে এই গ্রন্থে। তবে তা ধারাবাহিকভাবে নয়। বইটা পড়তে গিয়ে কখনো আমার বর্তমানে, কখনো অতীতে চলে যাবেন পাঠক। আমার দেশ-বিদেশের জীবন, আমার সঙ্গে লেখকদের সম্পর্কের কথা পাওয়া যাবে এই গ্রন্থে। স্নিগ্ধ ভাষায় গল্পের আঙ্গিকে লেখা বইটি। নানা রকমভাবে নিজের জীবনের কথা বলেছি। চারপাশের ঘটনা, যাপিতজীবন এবং বিশেষভাবে আমার লেখকজীবনের কথা এসেছে এ গ্রন্থে। ’