মেঘনার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ, নদী গর্ভে বসত ভিটা ফসলি জমি

মেঘনার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ, নদী গর্ভে বসত ভিটা ফসলি জমি

আকবর হোসেন সোহাগ, নোয়াখালী

নোয়াখালীর তিনটি উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন তীব্রতর হচ্ছে। গেল ১০ দিনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েক হাজার বসতভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা। বাস্তুভিটা হারিয়ে দিশেহারা হাজার হাজার মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে মেগা প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।


নোয়াখালীর উপকূলীয় ৩টি উপজেলা সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও হাতিয়া। নদীর তীব্র স্রোত আর জোয়ারের পানিতে প্রতি বছরই বিলীন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, হাট-বাজার, বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়।


গেল দশদিন ধরে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে সর্বস্ব হারাচ্ছে এসব উপজেলার নদী তীরবর্তি মানুষ। ভাঙন কবলিতদের অভিযোগ, নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়ে নি:স্ব হচ্ছেন তারা।


জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, নদী ভাঙন রোধে সরকার স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শিগগিরিই ভাঙন রোধে কার্যক্রর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রকল্পের অধীনে বৃহত্তর নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার ১২৬ কিলোমিটার জুড়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এর বাইরে হাতিয়ার ৮৬ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ