রোহিঙ্গা সংকট: তিন বছরেও ক্ষত শুকায়নি আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশের

রোহিঙ্গা সংকট: তিন বছরেও ক্ষত শুকায়নি আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশের

ইসমত আরা ইসু, কক্সবাজার

রোহিঙ্গা সংকটের তিন বছরে কক্সবাজারে আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত পরিবর্তন এখনো চোখে পড়ার মতো। যে বন ক্ষতির শিকার হয়েছিলো তার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ সামান্যই। সামাজিক ব্যবস্থায় ক্ষতচিহ্নও দগদগে। মাদক পাচারসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে স্থানীয়ভাবে সমালোচনার শিকার এই জনগোষ্ঠি।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের অপরাধমূলক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে সব বাহিনী সমান সচেষ্ট। এদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া করোনা সংকটে ধীর গতি পেয়েছে বলে দাবি জেলা প্রশাসকের।  

১১ লাখ রোহিঙ্গাকে ৩৪টি ক্যাম্পে স্থান দিতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় বন উজার হয় ৮ হাজার একর। ২০১৯ সালে দুই উপজেলায় বনাঞ্চল ধ্বংসে ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করা হয় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।

এছাড়া ১০ হাজার গভীর নলকূপ স্থাপনের কারনে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

রোহিঙ্গারা সবচেয়ে বেশি জড়িত ইয়াবা পাচারের কাজে। কয়েকটি বাহিনীর চেষ্টাও এই কাজ কমছে না। গেল রোববার কক্সবাজারের বাকখালী নদী থেকে ১৩ লাখ পিস ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গাকে আটক করে র্যা ব। এছাড়া গেল ৮ মাসে শুধু বিজিবির অভিযানে ৩৬ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার ও ১৩২ রোহিঙ্গা আটক হয়। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে জুলাইয়ের শুরু থেকে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত ইয়াবা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১৮ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়। শরণার্থী, ত্রাণ ও পূনর্বাসন কমিশনার বলছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সব বাহিনী একত্রে কাজ করছে।

বনের ক্ষতি কাটাতে ৫ বছরে ১৪ হাজার একর জমিতে বন সৃষ্টির কাজ হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

করোনা সংকটে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ধীর গতি পেলেও, দেশে ফিরতে রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

রোহিঙ্গ সংকটে সৃষ্ট সামাজিক ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝেও অসন্তোষ সৃষ্টি করছে।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ