আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুললেন অরিজিৎ

সংগৃহীত ছবি

আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুললেন অরিজিৎ

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে সবাই কমবেশি সরব ছিলেন। কেউ পথে নেমে, আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। তবে এতদিনে এই বিষয়ে চুপ ছিলেন ঘরের ছেলে অরিজিৎ সিং। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি।

 

সোমবার (২৬ আগস্ট) এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) থেকে লাইভে এসে অরিজিৎ সিং বললেন, “পথে নেমে গেলেই তো হল না। বিশৃঙ্খলা হলে মুশকিল। সবাই তো নামছে পথে। আমরা রয়েছি পাশে।

হিতে বিপরীত হলে হবে না। কেউ যদি ভাবে সুযোগ নেবে, নিতে পারে। যারা রাগাচ্ছে, তোমরা তাদের কথায় রেগে যেয়ো না। তারাও কষ্টের জায়গা থেকে এই কথাগুলো বলছে। ”


তার কথায়, “তোমাদের মতো স্বাধীনতা নেই আমার। তোমরা প্রতি দিন রাস্তায় বেরোতে পারো। আমি তা পারি না। তোমরা যেভাবে বিচরণ করো, আমাকে তা করতে দেওয়া হয় না। আমি পথে নামলে সেলফি তোলার ভিড় হবে। অনেকে ভাবছে আমি বেরোলে আমার সঙ্গে ওরাও হাঁটবে। অত ভিড় বাড়িয়ে কী হবে?” তবে এ সবের মধ্যেও ইতিবাচক দিক খুঁজে নিয়েছেন তিনি। “আমি পথে নামব কি না, তা নিয়ে রাজনীতি করার কোনও মানে হয় না। খুব তুচ্ছ ব্যাপার। যারা কথা বলছেন বলুন। এতেও জনমত তৈরি হবে। বিতর্ক হলেও ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা তো হবে”, বললেন সঙ্গীতশিল্পী।

নাগরিক হিসাবে যা কর্তব্য পালনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন এসময়। আইন হাতে নেওয়ার অধিকার নেই নাগরিকদের। তবে যারা আইন সংক্রান্ত দায়িত্বে রয়েছেন, তারা যদি ঠিকঠাক কাজ না করেন তা হলে সমস্যা। “তারা ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করছেন না বলেই আমরা সন্তুষ্ট হতে পারছি না”, বললেন অরিজিৎ। তার মতে, এই ঘটনার প্রতিবাদের অর্থ কোনও রাজনৈতিক দল বা সরকারের বিরোধিতা করা নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘যে যায় লঙ্কায়, সে-ই হয় রাবণ’ এই প্রবাদ শুনে এসেছি। আমরা যে আওয়াজ তোলা শুরু করেছি এটা তো সবে শুরু। বিশ্বাস ভেঙে গেলে প্রতিক্রিয়া জানায় মানুষ। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। অসহায় লাগছে। একজন নেতাজি, একজন স্বামী বিবেকানন্দকে দরকার, নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। ' তিনি জানালেন, গ্রামাঞ্চলে হামেশাই এই ধরনের ঘটনা শোনা যায়। তবে এত বড় করে প্রকাশ্যে আসে না। মানুষ উপেক্ষা করে যান সাধারণত। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ চোখ খুলে দিয়েছে সকলের। তার দাবি, সবার বুদ্ধি আছে, সকলে সবটা দেখতে পাচ্ছে।

অরিজিতের আশা, ঘটনার সত্যতা প্রকাশ্যে আসবে। যদি না আসে, সময় কথা বলবে। মানুষ তো দেখছেন সব। ‘কেমন যেন মনে হচ্ছে অন্য ধরনের কথা বলা হবে। মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে। যথেষ্ট ভাবাচ্ছে বিষয়টি। বিশদে দেখার সাহস হয়নি। খারাপ লাগছে, কষ্ট হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

নাগরিকদের পিটিশন নিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অরিজিৎ। চিকিৎসক তো বটেই, প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষা দরকার। সবশেষে তিনি বলেন , 'এই বিষয়টিকে ভাইরাল করে বিরাট কিছু করে দিও না তোমরা। আমি মত প্রকাশ করি না সাধারণত। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে বলতে বাধ্য হলাম কারণ আমি ভয় পেয়েছি, কেঁপে উঠেছি। ঘটনাটি নাড়িয়ে দিয়েছে আমাকে। ’  সূত্র: আনন্দবাজার

news24bd.tv/এসএম

এই রকম আরও টপিক