বিএনপির নেতার নামে পাসপোর্ট অফিসে চাঁদাবাজি, যুবক আটক

বিএনপির নেতার নামে পাসপোর্ট অফিসে চাঁদাবাজি, যুবক আটক

অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে মামুন গাজী (৩০) নামের এক যুবক আটক হয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির সভাপতির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক হন। তার সঙ্গে ছাত্রদল পরিচয়ে ফজলু নামের আরেক যুবক জনগণের মারধর খেয়ে পালিয়ে যান। চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের তরপুরচন্ডি এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আটক মামুন শহরের চেয়ারম্যানঘাট জিটি রোড দক্ষিণ এলাকার মোস্তফা গাজীর ছেলে। মারধর খেয়ে পালিয়ে যাওয়া ফজলুও একই এলাকার। তবে তার বাবার নাম জানা যায়নি।

পাসপোর্ট অফিসের হিসাবরক্ষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, 'সকাল থেকে আমরা পাসপোর্ট সেবা প্রার্থীদের কাজ করে যাচ্ছিলাম।

ওই সময় আটক মামুন আরো দুজনসহ অফিসের নিচতলায় মুঠোফোন দিয়ে ভিডিও ধারণ করছিলেন। মামুন উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, এখানে আমাদেরকে এত দিন ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এখানকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। তারা একই সঙ্গে টাকা দাবি করে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
'
তিনি আরও বলেন, 'এক পর্যায়ে তাকে দ্বিতীয়তলায় একটি কক্ষে এনে জিজ্ঞাসা করা শুরু হয়। এ সময় তার সমস্যা কী? কোনো কাজ থাকলে তা জানাতে বলা হয়। কিন্তু এই যুবক সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেনি। তাদের সঙ্গের একজন মুঠোফোন হাতে নিয়ে বোঝান, তিনি জেলা বিএনপির সভাপতিকে কল দিচ্ছেন। '

মো. ফারুক হোসেন বলেন, 'আসলে সঠিক নয়। এই সময়ের মধ্যে তাদের একজন বলে এই উনিতো তোমাদের ভিডিও করছে। এই কথা বলে আমার হাতে থাকা মূল্যবান ডিজিটাল ঘড়ি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মামুনকে আটকে রাখা হয়। '

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, 'অফিসে উচ্চস্বরে কথাবার্তা শুনে আমি গিয়ে দেখি আটক মামুনসহ তিনজন। তারা অফিসের পুরো শৃঙ্খলা নষ্ট করে ফেলেছে। তার কাছে আমি জানতে চাই কার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাকে বলেন, আমি ব্যবস্থা নেব। সে বলতে পারে না। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করে আমার কক্ষে রাখা হয়। এখানে আমাদের আনসার সদস্যরা আছে। তার বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ লিখে প্রস্তুত করছি। দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার কাছে তাকে সোপর্দ করা হবে। '

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, 'দেশের এমন পরিস্থিতিতে আমি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাকে বলেছি আমার দলে হবে আগে শুদ্ধি অভিযান। আমার নাম বলেও কেউ পার পাবেনা। আমাকে তথ্য দেবেন। দুস্কৃতিকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। '

news24bd.tv/আইএএম