পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় হত্যা, স্বামী পলাতক

পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় হত্যা, স্বামী পলাতক

নোয়াখালী প্রতিনিধি

স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকলমি গ্রামে ফারজানা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও নির্যাতন করে হত্যা করেছে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এদিকে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

অপরদিকে ঘটনার পর থেকে পরকীয়া আসক্ত ঘাতক স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরকলমি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ফারজানা সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামের বসির উল্যার মেয়ে।

নিহতের বাবা বসির উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, গত ৫-৬ বছর আগে কোম্পানীগঞ্জের চরকলমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সাথে পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে হয়। জহির স্থানীয় বাজারে স্টিলের আলমারির ব্যবসা করেন।

ব্যবসার সুবাদে তার দোকানে আসা একাধিক নারী গ্রাহকের সাথে সে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।  

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফারজানা স্বামীর মোবাইলে একটি মেয়ের সাথে তার যৌথ ছবি দেখতে পান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামী ফারজানাকে বেদম মারধর করে। স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি আমাদেরকে জানানোর কারণে স্বামীসহ পরিবারের অপরাপর সদস্যরা আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। এমনকি মৃত্যুর খবরও আমাদেরকে দেওয়া হয়নি। তারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি জানান।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.আব্দুস সুলতান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বামী অন্যত্র এক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িত ছিল। স্বামীর মোবাইলে এসব ছবি দেখে ফেলে স্ত্রী। ওই ঘটনার জের ধরে স্বামী স্ত্রীকে মারধর ও চড়-থাপ্পড় দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং স্বামী পালিয়ে যায়। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

news24bd.tv/তৌহিদ