‘মনোনয়ন চাওয়াটাই আমার অপরাধ’ আদালতে মিন্টু

সংগৃহীত ছবি

এমপি আনার হত্যা

‘মনোনয়ন চাওয়াটাই আমার অপরাধ’ আদালতে মিন্টু

অনলাইন ডেস্ক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে অপহরণের মাধ্যমে হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। তিনি বলেন, নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়াই তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রিমান্ড শুনানিতে এসব কথা বলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারক মিন্টুকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কিছু বলবেন?’ মিন্টু তখন বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

এমপি নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়াটাই আমার অপরাধ। ’

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সাইদুল করিম মিন্টুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। তার পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। এরপর দুপুরে রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে শুনানি হয়।

শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এদিকে আজ ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, শিমুল তার জবাবন্দিতে বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের এক নেতার সঙ্গে তারা টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। সেখানে অর্থের বিষয়ে কথা হয়। দুই কোটি টাকা লেনদেনের কথা আসে। বলা হয় বাংলাদেশে যাওয়ার পরই ২০ লাখ দেবেন, আর এক কোটি ৮০ লাখ দেবেন ২৬ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে।

সে অনুযায়ী ১৩ মে আনারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়া হয়, যেন কোনোকালেই কোনো দেশের পুলিশ লাশ খুঁজে না পায়।

তিনি বলেন, এরপর হত্যাকারীরা বাংলাদেশে চলে আসেন। শাহীন আমেরিকা চলে যান এবং সিয়াম চলে যান নেপালে। শাহীনের পক্ষে কাজ করেন শিমুল ভুঁইয়া। তেমনি আমাদের বিচার-বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, মিন্টু দায়িত্ব দেন বাবুকে। সে অনুযায়ী ৬ মে বাবু দেখা করেন শিমুলের সঙ্গে।

তিনি আরো বলেন, বাবু রিমান্ডে স্বীকার করেছেন, তার সঙ্গে শিমুলের কথা হয়েছে, খুনের পর তারা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দেখা করেন। সেখানে শিমুল ছবি দেখান বাবুকে।

news24bd.tv/DHL