এমপি আনার হত্যা: আওয়ামী লীগ নেতা বাবুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু

এমপি আনার হত্যা: আওয়ামী লীগ নেতা বাবুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু।

শুক্রবার (১৪ জুন) আসামি বাবু স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

স্বীকারোক্তিতে বাবু জানিয়েছেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টুর হয়ে ২ কোটি টাকায় এমপি আনার হত্যার জন্য শিমুল ভূঁইয়ার সাথে ডিল করেন কাজী কামাল।

পরে তার ফোনে এমপি আনারকে হত্যা করে ছবি পাঠানো হয়।

এর আগে গত ৯ জুন আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলায় এর আগে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ভারতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন তিনি। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন আনার। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরের বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের।

চারদিন পর হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে সেখানে মরদেহ মেলেনি।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক