ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ৬ নির্দেশনা

ছাত্রদল

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ৬ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‌‘রিমাল’ এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রোধে ও জানমালের নিরাপত্তায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি ৬টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

ক্রমান্বয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের উপকূলের দিক ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে, দুর্বিপাকে কিংবা সংকটে এক‌টি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। রিমালের বিধ্বংসী প্রবণতা থেকে উপকূলের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ইউনিটসমূহের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

১. উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষকে ‌রিমাল এর ধ্বংসাত্মক প্রবণতা সম্পর্কে জরুরিভাবে সতর্ক করার প্রয়োজনে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।

২. সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। গবাদি পশুগুলোকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। বাঁধ সংস্কারের কাজে সহযোগিতা করতে হবে।

৩. শুকনো কিংবা রান্না করা খাবার, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রস্তুত রাখতে হবে।

৪. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধারকাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিটি ইউনিটে অন্তত এক‌টি রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখতে হবে।

৫. ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে।

৬. নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক