পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধস, নিহত বেড়ে ৩ শতাধিক

সংগৃহীত ছবি

পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধস, নিহত বেড়ে ৩ শতাধিক

অনলাইন ডেস্ক

পাপুয়া নিউগিনির বিচ্ছিন্ন এনগা প্রদেশে মারাত্মক ভূমিধসে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আরও মানুষের মৃত্যু হতে পারে।  প্রদেশটির সংসদ সদস্য আমোস আকেম গার্ডিয়ান পত্রিকাকে বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভূমিধসে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ এবং এক হাজার ১৮২টি ঘর মাটিচাপা পড়েছে। শনিবার (২৫ মে) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

এর আগে গতকাল ভূমিধসে ১০০ জন নিহত হওয়ার খবর বলা হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে জরুরি পরিষেবাগুলো উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। মানবিক সংস্থা কেয়ার অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, চিকিৎসক এবং সামরিক কর্মীদের নিয়ে গঠিত একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু দুর্গম এলাকা এবং প্রধান সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।

মহাসড়ক দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছা যাচ্ছে না, শুধু একটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সেখানে পৌঁছা সম্ভব।

গার্ডিয়ান পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে আকেম ব্যাখ্যা করেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ইয়াম্বালি গ্রাম এবং রাজধানীর সঙ্গে সংযোগকারী একটি রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। ইয়াম্বালি প্রদেশের রাজধানী ওয়াবাগ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরে অবস্থিত।

এপি নিউজ এজেন্সির সঙ্গে কথা বলার সময় জাতিসংঘের কর্মকর্তা আক্তোপ্রাক বলেছেন, ‘ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি প্রায় তিন থেকে চারটি ফুটবল মাঠের সমান। ’ তিনি আরো বলেন, ‘ইয়াম্বলি গ্রামে ৩ হাজার ৮৯৫ জন লোক বসবাস করে।

গ্রামের কিছু বাড়ি ভূমিধসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে, কিন্তু মারাত্মক ভূমিধসের কারণে মৃতের সংখ্যা ১০০-এর বেশি হতে পারে। ’

আক্তোপ্রাক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, ‘সেখানে মাটি ক্রমাগত সরে যাচ্ছে, ফলে মানুষের পক্ষে কাজ করা বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। ’

বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্থানীয়রা ধ্বংসস্তূপ ও গাছের নিচ থেকে মৃতদেহ টেনে বের করছেন। এ ছাড়া বড় বড় বিশাল পাথর এবং গাছ উপড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশের গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেছেন, তিনি যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছেন তখন কোনো বাড়ি অবশিষ্ট ছিল না।

ভূমিধসের কারণে ছয়টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের রাজধানী পোর্ট মোরেসবি থেকে এনগা সড়কপথে ৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে।

এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৩টার দিকে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকাকালীন চোখের পলকে মাটির তলায় চলে যায় গোটা গ্রাম। ভূমিধসে কয়েক শ ঘরবাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে কত মানুষ আটকা পড়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কেয়ার অস্ট্রেলিয়া আগের বিবৃতিতে বলেছিল, ‘যদিও এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ নয়, আমাদের উদ্বেগের বিষয় হলো মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। ’

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক