চুরির টাকায় বান্ধবীকে নিয়ে ভাড়া করা প্রাইভেট কারে ঘুরতেন হৃদয়

আব্দুল্লাহ আল হৃদয় (সংগৃহীত ছবি)

চুরির টাকায় বান্ধবীকে নিয়ে ভাড়া করা প্রাইভেট কারে ঘুরতেন হৃদয়

অনলাইন ডেস্ক

চুরি করা জিনিস বিক্রি করে প্রাইভেট কার গাড়ি ভাড়া করে বান্ধবী সঙ্গে নিয়ে ঘোরাফেরা করতো আব্দুল্লাহ আল হৃদয়। তিনি শরীরচর্চায় বিশেষ পারদর্শী ও ফিটনেস প্রশিক্ষক।  

বুধবার রাতে তাকেসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিষয়টি জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোমিনুল হাসান।

 

গ্রেপ্তার দুজন হলেন- আব্দুল্লাহ আল হৃদয় ওরফে রিফাত (২২) ও কামাল হোসাইন মুন্না (২৩)।  

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় এক শিক্ষকের বাসায় চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া স্বর্ণ, চোরাই কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও ৫০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।  

পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল্লাহ শরীরচর্চায় বিশেষ পারদর্শী ও ফিটনেস প্রশিক্ষক।

সে চুরি করা জিনিস বিক্রি করে প্রাইভেট কার গাড়ি ভাড়া করে বান্ধবী সঙ্গে নিয়ে ঘোরাফেরা করতো।

এসআই মোমিনুল হাসান বলেন, গত ১৯ মার্চ চান্দগাঁও আবাসিকের শমীর্ষ্ঠা বড়ুয়া নামের একজনের দ্বিতীয় তলার বাসায় মেইন দরজার তালা কেটে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও প্রাইজবন্ড চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর থানায় এজাহার দায়ের করেন তিনি। এরপর  ঘটনাস্থল ও ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির সঙ্গে জড়িত রবিন নামে একজনকে ১৯ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। রবিন আাদালতে তার দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। চুরির সঙ্গে জড়িত বাকিদের নাম প্রকাশ করেন।

তার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সিআরবি এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেওয়া তথ্যে  মহেরাজখান চৌধুরী ঘাটা এলাকা থেকে মো. কামাল হোসাইন মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

এ সময় এক ভরি স্বর্ণ, একটি লোহার তৈরি কাটার, একটি প্লাস ও  ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হৃদয়,মুন্না ও রবিন বন্ধু। তারা ভবঘুরে হয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা এলাকায় দিনের বেলা ও রাতের বেলা ঘুরাফেরা করে। তারা বিভিন্ন বাড়ির দিকে নজর রাখে। কোন ঘরে আলো না থাকলে তারা মনে করে সে বাসার লোকজন নেই। আবার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে সিঁড়ি দিয়ে উঠে দেখে তালা দেওয়া আছে কিনা। তালা দেওয়া থাকলে তারা সে বাসাকে টার্গেট করে কাটার দিয়ে তালা কেটে সময়মত চুরি করে। আবার কোনো বাড়িতে দারোয়ান না থাকলে সুযোগ বুঝে বিল্ডিংয়ে উঠে। যে বাসায় তালা দেওয়া থাকে সে বাসার তালা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করে বাসার ভিতরে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে।

এসআই মোমিনুল হাসান বলেন, আব্দুল্লাহ আল হৃদয় নিয়মিত জিম করে। বিভিন্ন জিম সেন্টারে সে ট্রেইনার হিসেবে কাজ করে বলেও দাবি করেছে। সে চুরির টাকায় প্রাইভেট কার ভাড়া করে চলাফেলা করে। বিভিন্ন সময় সেই গাড়িতে বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরাফেরাও করেছে হৃদয়। এ ছাড়া ইয়ারাও সেবন করে সে। আর মুন্না খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা। মুন্না ও রিফাত সম্পর্কে সৎভাই।

news24bd.tv/কেআই