রাজনীতিকে আমি ইবাদত হিসেবে নিয়েছি: শামীম ওসমান

শামীম ওসমান

রাজনীতিকে আমি ইবাদত হিসেবে নিয়েছি: শামীম ওসমান

রাজনীতিকে ইবাদত হিসেবে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তিনি বলেন, আজ রাস্তা হয়েছে মানুষ খুশি হয়েছে। রাজনীতিকে কেউ ব্যবসা হিসেবে নেয় কেউ এবাদত হিসেবে। আমি এবাদত হিসেবে নিয়েছি।

আল্লাহ যদি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করেন, তাহলে এমন কিছু কাজ করব; যেন মানুষ আমার মৃত্যুর পর আমার জন্য দোয়া করে। এটাই আমার লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আমরা একবার নিষিদ্ধপল্লী উচ্ছেদ করেছি, এবার মাদকটা উঠিয়ে দিতে চাই। আপনাদের নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার করতে চাই।

বড় বড় কাজগুলো সব করে ফেলেছি শেখ হাসিনার আদর পেয়েছি। আমি আমাদের এলাকাকে নতুন বৌয়ের মতো সাজাতে চাই।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন শামীম ওসমান। এ সময় তাঁর পাশে তাঁর ছেলে আইনজীবী অয়ন ওসমান ছিলেন। তবে কোনো নেতাকর্মী না নিয়ে অনেকটা একাকীই মনোনয়ন জমা দেন শামীম ওসমান।

শামীম ওসমান বলেন, জাতির পিতার কন্যার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আমার কমপক্ষে দুই হাজার নেতা আছে, যারা আমার চেয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন। যাদের কারণে আজ আমি এ জায়গায় আছি। তারা জানলে এখানে ৫০-৬০ হাজার লোক হয়ে যাবে। পরে বলবে নির্বাচন কমিশনের আইন আমরা ভঙ্গ করেছি।

তিনি বলেন, জনগণ একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন চায়। আমাদের সভানেত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন সেটা অক্ষর অক্ষরে পালন করা আমাদের দায়িত্ব। এখন থেকে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারা বজায় রাখতে যা করা দরকার সেটা আমরা করবো। তাই এ জীবনে আমি প্রথম একা মনোনয়ন জমা দিতে এসেছি।

শামীম ওসমান বলেন, নির্বাচন যেভাবে হওয়ার সেভাবেই হবে। আমরা ওদের নিয়ে চিন্তা করছি না। আমরা দেখছি জনগণের অংশগ্রহণ কতটা। যখন জনগণ ভোট দিতে আসবে তখন সেটাকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলে। ইউরোপে জনগণের সব সুযোগ আছে।

তাও সেখানে ত্রিশ শতাংশ ভোট পড়ে না। আমেরিকায়ও এমনই হয়। আমাদের টার্গেট যাকে ইচ্ছা ভোট দিন কিন্তু ভোটকেন্দ্রে আসুন। এটা আপনার অধিকার, ভোট দিন। নয়তো আপনি সরকারের সমালোচনা করার অধিকার রাখেন না।

বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিনের মনোনয়ন বিতর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তার বিবৃতি দেখিনি। পত্রিকায় দেখেছি তার ছেলে যে আছে কাউন্সিলর তার সচিব এই মনোনয়ন নিয়েছে। তার সিসিটিভি ফুটেজ ও আইডি কার্ড সব দেওয়া হয়েছে। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, একটা হলো স্ট্যান্টবাজি। আরেকটা হলো নাম প্রচার করা ও মনোনয়ন কিনে অন্য কোনো দলে ঢোকা। যখন সে দরজা বন্ধ হয়ে যায় তখন বলা যে আমি কিনি নাই।

তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করছে ও আমাদেরও বিব্রত করছে। বলবে আমরাই কিনিয়েছি তার সম্মানহানী করতে। আমার অনুরোধ যে এটা কিনেছে সেটা যদি তার মতামত না নিয়ে করা থাকে তাহলে এটা একটা অপরাধ। নির্বাচন কমিশনের উচিত তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা কেন এটা করেছে। নাহলে এটাতে আমরা বিব্রত হচ্ছি, আমি নিজেও বিব্রত। আমরা তাকে নিয়ে ওভাবে চিন্তা করি না। হয়তো বিএনপির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে। এজন্য বলছে। যে দিয়েছে তাকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করছে না সেটা আমি এখনও বুঝতে পারছি না।

news24bd.tv/আইএএম