বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যের বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার দোষ স্বীকার করে কেবল ক্ষমা প্রার্থনা করলেই হবে না।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের দায়সারা গোছের ক্ষমা প্রার্থনা করে তিনি ঘটনাকে শেষ করতে চেয়েছেন। তিনি একজন প্রার্থীর মৃত্যু কামনা কীভাবে করলেন? তিনি শুধু মৃত্যু কামনা নয়, বরং ফয়জুল করীমকে হত্যার চেষ্টা করেছেন, যা তার বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।
অভিযোগ করে দলটির মহাসচিব বলেন, 'যে ব্যক্তি ক্ষমতাসীন দস্যুদের পক্ষ নিয়ে বিরোধী দলের মেয়র প্রার্থী বরেণ্য আলেমে দীন এর মৃত্যু কামনা করেন, সে আর যে হোক স্বাধীন সার্বভৌম দেশের সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকার কোনো যোগ্যতা রাখেন না। '
উল্লেখ্য, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বার বার বর্বরোচিত হামলার শিকার হন।
এমন মন্তব্য করার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে উকিল নোটিশ দেন মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম। এ ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন সংবাদপত্রের মাধ্যমে।
সোমবারের ওই বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, মিথ্যাবাদী সিইসিসহ নির্বাচন কমিশন যত তাড়াতাড়ি বাতিল হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল হবে এবং দেশের মানুষ ভোটাধিকার ফিরে পাবে।