কেউ বলে প্রেমের কবি, কেউ বলে সাম্যের। তবে এসব বিশেষণ ছাপিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম সকলের কাছে বিদ্রোহী কবি নামেই স্বীকৃত। যিনি সকল ক্ষণে সকল যুগে চির উন্নত মম শির। জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশিষ্টজনরা বলেন, কবির আদর্শ ও কবিসত্ত্বার চর্চা হওয়া উচিত জীবনের প্রতিটি ক্ষণে।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সমাজের অসঙ্গতি আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে যিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, লড়েছিলেন এককভাবে। জাগরণের সেই বাণী কান পাতলে তীর্যক ধ্বনিতে শোনা যায় আজও।
কবির আদর্শ, দর্শনতত্ত্ব, ভাবাবেগ একবিংশ শতাব্দীতেও বহমান।
কবির প্রয়াণ দিবস ছুঁই ছুঁই করছে অর্ধশত বছরের চৌকাঠ। কবিকে শ্রদ্ধা নিবেদনে তার সমাধিতে আসেন শিক্ষক, সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও।
কবি নজরুলের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সাম্যের কবি, অসাম্প্রদায়িক ও মানবতার কবি। বঙ্গবন্ধু ও কবি নজরুলের মধ্যে একটি অসাধারণ সখ্য ছিল।
‘বঙ্গবন্ধুই মূলত কবি নজরুলকে দরিদ্রপীড়িত জীবনাচার থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। দুজনই মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক ও উদার জীবন দর্শন। অনেক বিশাল কবির সাহিত্য সম্ভার। তার সাহিত্য সম্ভারে নানাবিধ মূল্যবোধ ও নানা ধরনের ভাবদর্শন। ’
যে কবি দাসত্বের শৃঙ্খলে বদ্ধ জাতিকে শোষণ ও উৎপীড়ন থেকে মুক্ত হবার ডাক দিয়েছিলেন, সে কবির কবিসত্ত্ব চর্চা হওয়া উচিৎ প্রতিটি ক্ষণ, এমনটাই বলছেন কবিপ্রেমীরা।
news24bd.tv/তৌহিদ