নোয়াখালীর উপকূলীয় হাতিয়া ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসা ২০ রোহিঙ্গা আটকের ১২ ঘণ্টা পর ফের পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ছিল ৫ জন পুরুষ, ৬ জন নারী এবং ৯ জন শিশু।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গাংচিল কিল্লার বাজার সংলগ্ন নামার বাজারের সেলিম মাঝির ঘর থেকে পালিয়ে যায় তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের আব্দুর রাজ্জাকের গাফলতির সুযোগে চর এলাহী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদ্যস্য আব্দুল হক ও সেলিম মাঝির যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে আটককৃত রোহিঙ্গাদের পুনরায় পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অইচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেন, গতকাল রাতে ২০ রোহিঙ্গাকে আটকের সাথে সাথে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে অবহিত করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হক টাকার বিনিময়ে আটককৃত রোঙ্গিাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চৌকিদার চেয়ার নিয়ে ঘরের সামনে বসা ছিল। ঘরের পাশে হাজার মানুষ ভিড় করছিল। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই সময় কিছু দুস্কৃতিকারী একজন-একজন করে সব রোহিঙ্গাকে ঘর থেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে আমরা বিষয়টি বুঝতে পারি। পরবর্তীতে তাদের পুনরায় ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান গাফিলতির অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ঘটনাস্থল থানা থেকে অনেক দূরে ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে আটককৃত রোহিঙ্গারা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
news24bd.tv/কামরুল