বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ও বিলাসবহুল বিমানে ভ্রমণের সময় যাত্রীরা ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইলে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন অনেক আগে থেকেই। অথচ বাংলাদেশে এখনো সেটি চালু হয়নি। ফলে বাংলাদেশে আসা বা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কোনো যাত্রী এই সুবিধা পেতেন না।
তবে খুশির খবর হলো- সেপ্টেম্বর থেকে ‘ইনফ্লাইট ইন্টারনেট’ নামের এই সেবা চালু করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স।
বাংলাদেশে এখন সব মিলে ২৬টি এয়ারলাইন্স ব্যবসা করছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছ থেকে এ বিষয়ে প্রায়াজনীয় অনুমোদন নিয়েছে বিমান। তারা সেবাটির প্রযুক্তিগত সহায়তা নেবে প্যানাসনিক এভিয়েশন করপোরেশনের কাছ থেকে। প্যানাসনিক এভিয়েশন করপোরেশন বিশ্বের ২৫টি স্যাটেলাইটের সঙ্গে যুক্ত থেকে এই সেবা দেয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সব উড়োজাহাতে ইন্টারনেট ব্যবহার বা কথা বলার সুবিধা দেওয়া যায় না। শুধু মাত্র ড্রিমলাইনার নামের বোয়িংয়ের অত্যাধুনিক সংযোজনে এই সেবা মিলবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সব মিলে চারটি ড্রিমলাইনার কিনছে। যার প্রথমটি আগামী আগস্ট মাসে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। দ্বিতীয়টি আসবে নভেম্বরে। পরের দুটি আগামী বছর।
বিমানের এই উড়োজাহাজে যারা চড়বেন, সকল যাত্রায় পাবেন এই সেবা। সেবাগুলো চালু হলে বিমান যাত্রীরা উড়োজাহাজে থ্রিজি গতিতে বিনামূল্যে ওয়াইফাই সুবিধা নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে নিজের মোবাইল ফোন থেকেই কথা বলা যাবে দুনিয়া যে কোনো জায়গায়। আর টেলিভিশনে থাকবে নয়টি চ্যানেল যেগুলো ফ্রি লাইভ দেখা যাবে। তবে ফোনকল বা বাড়তি ডেটা ব্যবহারে খরচ এখনও নির্ধারণ হয়নি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ জানান, বিমানের প্রত্যেক যাত্রী বিনামূল্যে তাদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে ২০ মেগাবাইট ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। দেশের প্রথম বিমান সংস্থা হিসেবে এই সেবা আমরা চালু করতে চলেছি।
এর ফলে দেশের পতাকাবাহী বিমান সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলেই তার আশাবাদ।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর