মহিষের মাংস যায় কোথায়?

 ফখরুল ইসলাম

হোটেল-রেস্তোরাঁ কিংবা বিরিয়ানীর দোকানে, কখনো কী মহিষের মাংস খেয়েছেন? নিশ্চয়ই বলবেন না। কিন্তু রাজধানীর বেশিরভাগ বিরিয়ানীর দোকান কিংবা রেস্তোরাঁয় বিক্রি হচ্ছে মহিষেরই মাংস। আমদানির পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত মহিষের মাংস যায় কোথায়? খায়ই বা কারা? 

রাজধানীর প্রতিটি বিরিয়ানীর দোকানেই মেলে গরুর তেহারী। সুস্বাদু ভেবে নিশ্চিন্তে খান ভোক্তারাও।

কিন্তু ক’ জন জানেন দিনে দুপুরেই প্রতারিত হচ্ছেন তারা। গরুর তেহারী বিক্রেতাদের জিজ্ঞেস করতেই মুখ ফসকে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। গরু নয় সবই মহিষের মাংসের বিরিয়ানী।

অথচ মেনুতে গরুর মাংসের কথা বলে বাড়ানো হয়েছে বিরিয়ানির দামও।

এতো এতো মহিষের মাংস কিভাবে কিংবা আসেই বা কোথা থেকে?

দেশে প্রতিবছর আমদানী করা হয় ২০ হাজার টন মহিষের মাংস। সাথে আছে দেশে পালিত মহিষও। অনুসন্ধানে দেখা যায় আমদানীকৃত এসব মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের এই বাড়িতে। যেখানে ফ্রিজিং করে রাখা কয়েক টন মহিষের মাংস।

আরও পড়ুন:


 

সুনামগঞ্জে সিএনজি-ট্রাক্টর মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২


কিছু মাংস পানিতে ভিজিয়ে রাখা। যেখান থেকে বেরিয়ে আসে পঁচা দুর্গন্ধ। প্যাকেটের গায়ে দেখা যায় এর সবই মহিষের মাথার মাংস। যেগুলো দু’শ থেকে তিন’শ টাকায় বিক্রি করা হয়।  এসব মহিষের মাংসের মেয়াদ বাকি আছে মাত্র এক থেকে দু মাস।

সারাদেশের হোটেল বিরিয়ানীর দোকানগুলোতে গরুর মাংস বলে মহিষের মাথার মাংস বিক্রির এমন প্রতারণা বন্ধের জোর দাবি ভোক্তাদের।

news24bd.tv রিমু