সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র কিনেছে ৭ বিদেশি প্রতিষ্ঠান

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র কিনেছে ৭ বিদেশি প্রতিষ্ঠান

অনলাইন ডেস্ক

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নিলামের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত দরপত্র কিনেছে সাতটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান। তবে নিলামকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে দরপত্র জমার সময় আরও তিন মাস বাড়িয়েছে পেট্রোবাংলা।

জানা গেছে, ৫৫ বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। যার মধ্যে সাত প্রতিষ্ঠান দরপত্রের নথি কিনেছে।

তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শর্ত শিথিল করে আরও প্রতিষ্ঠানকে নিলামে টানা উচিত।

দেশে এখন গ্যাসের মোট চাহিদা ৪০০ কোটি ঘনফুট। বিপরীতে সরবরাহ ২৭০ কোটি ঘনফুট। এরমধ্যে স্থানীয় উত্তোলন ২১০ এবং এলএনজি মিলছে ৬০ কোটি ঘনফুট।

তবে ২০৩০ সাল নাগাদ স্থলভাগের গ্যাস উত্তোলন নামতে পারে ১৮০ কোটি ঘনফুটের নিচে। অগভীর সমুদ্রে মিলতে পারে আরও ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। তখন প্রায় ৫০০ কোটি ঘনফুট চাহিদার ৬০ ভাগ মেটাতে হবে এলএনজি আমদানি করে।

এসব কিছু বিবেচনায় এনে গভীর-অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা। পরে দরপত্রের নথি, তথ্য-উপাত্ত কেনা ও জমা দেওয়ার সময় তিন মাস পিছিয়ে ৯ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা কারণ দেখিয়ে বলছেন, গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সমুদ্রে দ্রুতই অনুসন্ধান শুরু করা জরুরি। দেশের স্বার্থ সুরক্ষায় উৎপাদন-অংশীদারি চুক্তির বেশকিছু ধারায় সংস্কারেরও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ বলেন, ‘অফশোর বিডিংয়ের যে প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এটির সময় এগিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ আমরা যত দ্রুত নিজেদের দেশে গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে পারব ততই ভালো। যদি নিজেদের দেশে আমরা ১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসেরও ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে সেটুকুই আমাদের আমদানি করা লাগবে না। আমদানি কমানো গেলে বৈদেশিক মুদ্রার ওপরও চাপ কম পড়বে। ’

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলছেন, ‘আমরা যে প্রফিটটা পাব সেটি হবে নগদ অর্থে, গ্যাসে নয়। এ জায়গায় আমাদের আপত্তি রয়েছে। তারা করপোরেট ট্যাক্স যদি কম দেয় বা না দেয় সে ক্ষেত্রে তাদের ভাগের গ্যাসের দাম কমাতে হবে। কস্ট রিকভারির যে সমস্ত ক্লজ রয়েছে সেগুলোকে সংশোধন করতে হবে। ’

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ভারতের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। এরপর প্রতিবেশি দেশ দুটি সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে। একইপথে এবার হাঁটতে যাচ্ছে বাংলাদেশও।

news24bd.tv/SHS