নাটকীয়ভাবে ইসরাইলের মৃত সাগরের (Dead Sea) উপকূল হারিয়ে যেতে থাকায় সচেতনতা সৃষ্টিতে একটি নগ্ন ফটোশ্যুটে প্রায় ২০০ জন অংশ নিয়েছেন। মার্কিন ফটোগ্রাফার স্পেন্সার টিউনিকের একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ ফটোশ্যুটে অংশ নেন তারা। খবর বিবিসির।
স্পেন্সার টিউনিক পরিবেশগত পরিবর্তনকে তুলে ধরার জন্য বিশ্বব্যাপী বেশ পরিচিত একজন ফটোগ্রাফার।
তিনি বলেন, "২০১১ সালে ডেড সীতেই আমার প্রথম কাজটা করি। মিনারেল বিচ নামে যে উপকূলে আমি কাজটা করেছিলাম সেটি এখন আর নেই।
ডেড সী পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু জায়গায় অবস্থিত। এর উপকূলে রয়েছে জর্ডান, ইসরাইল ও এর অধিকৃত পশ্চিম তীর।
স্পেন্সার বলেন, ডেড সী হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা খুবই দ্রুত ঘটছে।
ফটোশ্যুটে অংশগ্রহণকারী ২০০ জনের শরীরে সাদা রঙ করা হয়। এগুলো ডেড সীতে অবস্থিত সামুদ্রিক লবণের কলামের মতো করে আঁকা হয়েছে।
তিনি বলেন, নগ্ন ব্যক্তি খুবই শক্তিশালী একটি সত্তা। এটি মানুষের দুর্বলতা ও ভঙ্গুরতাকে প্রকাশ করে। এটি একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে পারে। আমরা পরিবেশ থেকে শুরু করে রোগ, সুপেয় পানি সবকিছুর দ্বারাই প্রভাবিত।
আরও পড়ুন:
মেয়াদ-বেতন দুটোই বাড়ছে টাইগার কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর
পরের দুই ম্যাচ জিতলেও মূল পর্ব অনিশ্চিত টাইগারদের
নবীর ভবিষ্যদ্বাণী, বৃষ্টির মতো বিপদ নেমে আসবে
ডেলিভারি বয় থেকে বিশ্বকাপে অঘটনের নায়ক
তবে এই ফটোশ্যুটে স্থানীয় ইহুদী জনগোষ্ঠীর কিছু ব্যক্তি আপত্তি জানায়। এর আগেই স্পেন্সার ছবি তুলতে গিয়ে এমন আপত্তির মুখে পড়েছিলেন। এমনকি তার চিত্রকর্ম নিষিদ্ধের দাবিতে আদালতে বিল উত্থাপন করা হয়।
এর জবাবে তিনি বিবিসিকে বলেন, আমাকে থামানোর জন্য বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এটা আমার জন্য একটি সম্মান। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এমন একটি বিল থাকা উচিত যেখানে আমার কাজে অংশ নেয়ার জন্য আপনাকে জীবনে অন্তত একবার নগ্ন হওয়া প্রয়োজন।
news24bd.tv/ নকিব