কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রীর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহননের ঘটনায় এখনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। সহপাঠি ও প্রতিবেশিরাও সোচ্চার এই ব্যাপারে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীর স্বজনরা।
কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের অনার্সের শিক্ষার্থী মাশকি সুমাইয়া। ২০১৭ সালে কালিয়াচাপড়া চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে। স্কুলের খণ্ডকালিন শিক্ষক রাসেল আহমেদের সঙ্গে সে থেকে পরিচয়।
তার স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, তিন বছর ধরে শিক্ষক রাসেল তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। সুমাইয়াকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও তার আত্মহত্যার আগের দিন অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেন রাসেল। এই ঘটনায় ভেঙ্গে পড়েছেন সুমাইয়ার স্বজনরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে রোববার পাকুন্দিয়া থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন সুমাইয়ার বাবা।
সুমাইয়ার আত্মহত্যা মেনে নিতে পারছেন না সহপাঠি ও প্রতিবেশিরাও। বলছেন, দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনা না হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরো ঘটতে পারে।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল আহমেদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ গ্রামে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ