আন্তনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে জন্ম নেওয়ায় শিশুর নাম দেওয়া হয়েছে ‘লালমনি’। শনিবার রাতে প্রসূতি মা ও লালমনি বাড়িতে এলে গ্রামের মানুষ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের ছকমল মিয়ার বাড়িতে ভিড় জমায়।
নাবজাতকের পরিবার জানায়, সংসারে টানাপোড়েন আর অভাবের তাড়নায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের ছকমাল মিয়া-স্ত্রী নবিয়া বেগমকে নিয়ে প্রায় ২ বছর আগে ঢাকায় যান। স্ত্রী নবিয়া নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন।
রোববার স্বামী-স্ত্রী দুজনই টিকিট কেটে লালমনিরহাটগামী আন্তনগর ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ওঠেন।
সোমবার সকালে বগুড়া স্টেশনে আন্তনগর ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি পৌঁছায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সন্তানসহ প্রসূতিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। টানা ৫ দিন চিকিৎসার পর শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে গ্রামের বাড়িতে এলে বাড়ি লোকজন প্রসূতি মা ও সন্তানকে বরণ করে নেওয়া হয়। সেখানে শিশুটির নাম রাখা হয় ইব্রাহীম হোসেন লালমনি।
শিশুটির বাবা নির্মাণ শ্রমিক ছকমল মিয়া বলেন, আমি আমার সন্তানকে শিক্ষিত হয়ে রেলওয়েতে চাকরি করতে বলব। স্টেশনের মানুষ না এগিয়ে এলে আমার সন্তানকে বাঁচাতে পারতাম না।
চলবলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, বিষয়টি জানার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রসূতি ও তার সন্তানকে দেখেছি। তারা এখন অনেক ভালো আছেন। ৯৯৯ নম্বরে ফোন এবং রেল কর্মকর্তাদের জন্য মা ও শিশুর জীবন বেঁচে গেল।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)