২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ৩২ থেকে ৪৮-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা বাতিল করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানতিনো গত বছর বলেছিলেন, অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ৪৮ করার বিষয়টি ২০২৬ সাল থেকে এগিয়ে ২০২২ সালে আনা হতে পারে। যদি ৪৮টি দেশ অংশ নিতো তাহলে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ কাতারের পাশাপাশি অন্য দেশেও আয়োজন করতে হতো। খবর বিবিসির
কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা না বাড়ানোর বিষয়টি ফিফার এক দীর্ঘ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ফিফা বলেছে, ৪৮টি দেশের অংশগ্রহণে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-এর আয়োজন কাতার করতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখন এ বিষয়টি নিয়ে এগুনো ঠিক হবে না বলেও মনে করে ফিফা।
কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকরা বলেছেন, ২০২২ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা কাতার খোলা মনে দেখেছে।
বলা হচ্ছে, ‘টুর্নামেন্ট-এর এখন সাড়ে তিনবছর বাকি।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ সমগ্র আরব বিশ্বকে গৌরবান্বিত করবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত নভেম্বর মাসে ইউরোপিয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউয়েফার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কাতার বিশ্বকাপে ১৬টি বাড়তি দলের অংশ নিলে বহু সমস্যা তৈরি হবে এবং বিষয়টি বাস্তবসম্মত নয়।
গত প্রায় দেড় বছর যাবত কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করেছে প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। সুতরাং কাতারের পাশাপাশি এসব দেশে বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ আয়োজন এতো সহজ ছিল না।
কুয়েত এবং ওমানেও বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ আয়োজনের অবকাঠামো নেই।
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ফিফা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা হবে ৪৮টি। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা সম্মিলিতভাবে এ আয়োজন করবে।
ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বিশ্বকাপ ফুটবলের বিস্তার ঘটানোর পক্ষে। তিনি মনে করেন, এই টুর্নামেন্ট-এ আরো দেশের অংশগ্রহণ থাকা উচিত।
তিনি মনে করেন, ফুটবল শুধু ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিষয় নয়। এটি বৈশ্বিক বিষয়। দেশের সংখ্যা ৪৮টি হলে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে ৬৪ থেকে ৮০ তে উন্নীত হবে। তবে টুর্নামেন্ট ৩২ দিনের মধ্যেই শেষ হবে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)