হাসপাতালে পানি সরবরাহে ইসরায়েলি সেনাদের বাধা

সংগৃহীত ছবি

হাসপাতালে পানি সরবরাহে ইসরায়েলি সেনাদের বাধা

অনলাইন ডেস্ক

পশ্চিম তীরে অবস্থিত জেনিন সরকারি হাসপাতালের দিকে যাওয়া পানিবাহী ট্রাকগুলো আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে হাসপাতালটির কিডনি ডায়ালাইসিস পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

এছাড়া ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, জেনিনের বেসামরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের পানির ট্যাংকারগুলোকে হাসপাতালে পৌঁছতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

জেনিন বেসামরিক সুরক্ষা সেন্টারের পরিচালক দারঘাম জাকারনেহ বলেন, হাসপাতালের গেটে অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনারা পানি সরবরাহে বাধা দিয়েছে। হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগে কাজ করার জন্য দৈনিক ১০০ কিউবিক মিটার পানির প্রয়োজন জানিয়ে দারঘাম সতর্ক করে বলেন, ট্রাকগুলোকে আটকে রাখলে ডায়ালাইসিস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া অব্যাহত বিধি-নিষেধের ফলে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকলে ডায়ালাইসিস পরিষেবা স্থগিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ওয়াসিম বকর।

আনাদোলুর সঙ্গে কথা বলা প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জেনিন শহর ও সেখানকার শরণার্থীশিবিরে টানা চতুর্থ দিনের জন্য সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

সারা রাত ধরে চলা সংঘর্ষে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।

ফিলিস্তিন টিভির সম্প্রচারে শহর ও সেখানকার শিবিরে ধ্বংসযজ্ঞ দেখা যায়। পার্শ্ববর্তী পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে, যেখানে দোকান, অবকাঠামো ও খালিদ ইবনে আল-ওয়ালিদ মসজিদ হামলায় লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। টেলিভিশন জানিয়েছে, সংঘর্ষ জেনিনের পশ্চিমে কাফর দান শহরে বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে সেনাবাহিনী সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্যে একটি বাড়ি ঘেরাও করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বুধবার ভোরে পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তুলকারম, জেনিন ও তুবাসে বড় আকারের অভিযান শুরু করে, যা ২০০২ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড় অভিযান বলে বর্ণনা করা হয়েছে। শুক্রবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার ভোর থেকে ওই অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নৃশংস আক্রমণের প্রেক্ষাপটে অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে উত্তেজনা চলছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে সেখানে সাড়ে ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশ নারী ও শিশু। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অনুসারে, অধিকৃত অঞ্চলে অন্তত ৬৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার জন আহত হয়েছে। পাশাপাশি ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

news24bd.tv/DHL