নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যানারে মাঠে নামছে আ.লীগ: রাশেদ খাঁন

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বক্তব্য দিচ্ছেন

নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যানারে মাঠে নামছে আ.লীগ: রাশেদ খাঁন

অনলাইন ডেস্ক

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। আজ বুধবার সকাল ১১ টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

অবস্থান কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আওয়ামী লীগ ১৫ আগস্ট প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু জনগণ সেদিন তাদের বিপ্লব নস্যাৎ করে দিয়েছিল।

২১ আগস্টকে কেন্দ্র করে এই চক্রান্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ মাঠে থাকায়, আওয়ামী লীগের চক্রান্ত সফল হয়নি।

আওয়ামী লীগ বসে নেই। তারা ধারাবাহিক চক্রান্ত করছে।

নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যানারে তারা নামছে আওয়ামী লীগ। হঠাৎ দাবি-দাওয়া নিয়ে সচিবালয়ের সামনে হাজারো মানুষ। এই দাবি ১৫ বছর না করে একযোগে সবাই কেন মাঠে? তথ্য পাচ্ছি, আওয়ামী লীগের লোকজন দেশকে অস্থিতিশীল করতে এসব প্রোগ্রামে লোকবল সাপ্লাই দিচ্ছে। বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে এ বিষয়ে সচেতন থাকবে হবে। এই সরকার আমাদের সরকার, এই সরকার রাষ্ট্র সংস্কার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সুতরাং সরকারকে আমারা সহযোগিতা করতে হবে।

আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলব, শেখ হাসিনার উস্কানির ফাঁদে পা দিলে বিপদে পড়বেন। শেখ হাসিনা আপনাদের কথা চিন্তা না করে পালিয়ে গেছে, সুতরাং তার কথা শুনলে আপনাদেরও পালিয়ে যেতে হবে।

রাশেদ খাঁন আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কি চায়? এই মুহূর্তে সবার দাবি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। গণহত্যায় নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। শোনা যাচ্ছে উপদেষ্টারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের চিন্তা করছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন মেনে নেওয়া হবেনা। কারণ এমন নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের লোকজন সংসদে চলে যাবে। কিন্তু গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত কোনো দলের লোক জাতীয় সংসদে ঢুকবে, সেটি মেনে নিলে শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। আগামী নির্বাচনে তরুণদের গুরুত্ব দিতে হবে। কোনো দুর্নীতিবাজ, মাফিয়াকে টাকা ছিটিয়ে এমপি হতে দেওয়া যাবে না। দেশটাকে আমাদের নতুন করে সাজাতে হবে। এই দেশকে নিয়ে ভবিষ্যতে আর যাতে কেউ চক্রান্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শোনা যাচ্ছে সীমান্ত দিয়ে আওয়ামী লীগের এমপিরা পালাচ্ছে। বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে বলব সীমান্ত পাহারা দিন। ওদেরকে পালাতে দেওয়া যাবে না। দীপু মনির মতো সকলকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ হাসান আল মামুন বলেন, ২১ আগস্টকে কেন্দ্র আওয়ামী লীগ যাতে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে না পারে। সেজন্য আমরা গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা রাজপথে অবস্থান নিয়েছি। ছাত্র-জনতার এই অর্জন যাতে খুনি হাসিনা নস্যাৎ না করতে পারে। আমরা একটি খবর ইতিমধ্যে দেখেছি সময় টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কিন্তু আমি যেটি দেখেছি। মালিকা দ্বন্দ্বে বন্ধ রয়েছে সময় টিভি। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, কোনো পত্রিকা কিংবা টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা যাবে না। বরং নীতিমালা সংশোধন করে মুক্ত গণমাধ্যম হিসেবে তাদের গড়ে তুলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারকে হঠিয়ে নতুন বাংলাদেশ এর সুচনা হয়েছে। এই বাংলাদেশকে সবাই মিলে এগিয়ে নিতে হবে,এটা সবার দায়িত্ব।

গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, ইউনুস গাজী , শিক্ষা সম্পাদক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন,  সাধারণ সম্পাদক নাদিম।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক