আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ প্রশ্নে যা বললেন নুর

নুরুল হক নুর

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ প্রশ্নে যা বললেন নুর

অনলাইন ডেস্ক

সমৃদ্ধ জাতীয় ঐক্যের একটি দেশ গঠন করতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করা দরকার বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।   

নুর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে যে গণহত্যা চালিয়েছে তার জন্য অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত। এই গণহত্যায় যারা জড়িত ছিল তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।

যাতে বিশ্বের কাছে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। তার সাথে সাথে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যেমন, ছাত্রলীগ-যুবলীগকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যেমনটা আছে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে। পৃথিবীর স্বৈরশাসকরা তখন আতঙ্কে থাকবে।
যদি এদের বিচার করা না হয় সামনে যে সরকার আসবে তারাও স্বৈরাচার হয়ে যেতে পারে। এইসব বন্ধ করতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ছাত্রদের আবারও প্রাণ দিতে না হয়। সমৃদ্ধ জাতীয় ঐক্যের একটি দেশ গঠন করতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করতে হবে। যদি আমরা এবার অতীতের মতো আবারও ভুল করি, তাহলে ভবিষ্যতেও আগামী প্রজন্মকে এর জন্য খেসারত দিতে হবে। ’  

এ সময় খুব শিগগিরই জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখছেন না বলে জানান নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন খুব দ্রুত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। বিপ্লবে অংশ নেওয়া ছাত্র জনতাসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই চায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রের কিছু মৌলিক পরিবর্তন করুক, এর পরেই নির্বাচন আয়োজন করুক। সেই সংস্কারগুলোর মধ্যে আমরা বলছি যে, বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা, প্রশাসনের সংস্কার, পুলিশের সংস্কার, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে তার রূপরেখা প্রদান করা ইত্যাদি এ সরকারের অন্যতম কাজ। সেই নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতিতে কেমন হবে? অন্তরবর্তীকালীন সরকার হবে নাকি নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করতে হবে। যদি বর্তমান সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করে সমঝোতায় পৌঁছায় তখন এ সংক্রান্ত একটি রূপরেখা প্রদান করতে হবে। এই কাজগুলো করতে কমপক্ষে এক থেকে দুই বছর সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কিছুটা পরে হবে। ’ 

নুর বলেন, ‘আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের অনেকে চাচ্ছে আলাদা একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে। সরকারের কাজের তদারকি করা, রাজনৈতিক দলগুলো কী করছে সেটার একটি তদারকি করা। এই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য যদি তাদের হয় তাহলে খুবই ইতিবাচকভাবে দেখি। রাজনৈতিক দল এবং সরকারের ওপরে তারা তীক্ষ্ণ নজর রাখবে বলে আশা করছি। বাংলাদেশে প্রায় ১৮ থেকে ২০ বছর পর পর একটি বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। ৫২ থেকে ৭১, সেখান থেকে ৯০, এরপর ২০০৭ সাল আবার ২০২৪ সাল। দেখুন ১৮-২০ বছর পর পর মানুষ রক্ত দিয়েছে রাজপথে নেমেছে, কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। যেই লাউ সেই কদু হয়েছে। সেখান থেকে এবারের সচেতন তরুণরা বলছে যে, একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা ফিরে না আসা পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে। এর মানে এই নয় যে, তারা নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করছে। তারা তাদের মত কাজ করুক, আমরা তাদের কাজকে সাধুবাদ জানাই। তবে তারা যদি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দল তৈরি করে সেটাকেও সাধুবাদ জানাব। যদি তারা আমাদের সাথে কাজ করতে চায় সেক্ষেত্রে আমরা ওয়েলকাম করব তাদেরকে কারণ আমরা একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। আগামীতে অনেক নতুন কিছু ঘটবে, নতুন কোনো রাজনৈতিক শক্তির বড় রকমের একটি উত্থান দেখতে পাবো। ’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা দেশের মানুষের মধ্যে পুরনো রাজনৈতিক জনজাল নির্মূল করে নতুনদের আগমন ঘটােনার আকাঙ্খা লক্ষ্য করছি। মানুষ এখন নতুন নেতৃত্ব চায়, নতুন নেতা চায়। আমরা ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশবাসী কাছে পরিচিত হয়েছিলাম, তারপর ২০১৯ এর ডাকসু নির্বাচন, ২০২১ সালে আমরা আমাদের রাজনৈতিক দল গঠন করি। আমি বলতে পারি নতুন জেনারেশন জেন-জি’র দলই হচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ। আগামী দিনের পরিবেশ পরিস্থিতি আমাদের বলে দিবে যে আমরা এককভাবে নির্বাচন করব নাকি জোট বন্ধ ভাবে আগামীতে নির্বাচন করব। ’  

গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধনের বিষয়ে নুর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেওয়ার জন্য তিনটা শর্ত দিয়ে থাকে। তার মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলগুলো জন্য একটা শর্ত থাকে যে, দেশের একশো টি উপজেলায় সক্রিয় কমিটি থাকতে হবে। আমরা সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদন করেছিলাম, কিন্তু নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেয়নি। এটা আমাদের সাথে অন্যায় করেছিল, অবিচার করেছিল। আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে আমরা পুনরায় আবেদন করি, তখন বলা হয়েছে যে, বিগত সরকার গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে আমাদের নিবন্ধন আটকে রেখেছিল। যাই হোক, এই নির্বাচন কমিশন বিদায়ের আগে ভালো একটা কাজ করেছে। তার মধ্যে আমাদের নিবন্ধনটি একটি ভাল কাজ। এখন কিছুটা স্বস্তিতে আছি। ভালো লাগছে যে, আমার দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে। ’  

দলের নির্বাচনি ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে স্বাভাবিকভাবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি অবনতি হয়। মতপার্থক্য হতে পারে, তবে রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। শেখ হাসিনা পতনে আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের শতকরা ৮০ ভাগ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাথে সম্পৃক্ত ছিল, এখনো আছে। আমি মনে করি মানুষের যে চাওয়া নতুন রাজনীতি দল, নতুন দেশ, নতুন সংবিধান। সেটা নিয়েই আমরা বর্তমানে একসঙ্গে কাজ করছি। অতীতও তাদের সাথে আমাদের কাজ হয়েছে আগামীতেও হবে। আমরা সকলে মিলে দেশ ও জাতির জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাব। ’ 

ছাত্র আন্দোলনে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকার অভিযোগের বিষয়ে নুর বলেন, ‘আমি শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, এটি পুরোপুরি অসত্য। এই বিপ্লব ছাত্র জনতার বিপ্লব এর সাথে বিদেশের কোনো শক্তির হাত নেই। গত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই; এর বিরুদ্ধে পশ্চিমারা বারবারই প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে, কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার কর্ণপাত করেনি। এমনকি নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে তারপরেও কিন্তু সরকারকে সঠিক লাইনে আনতে পারেনি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত করতে পারেনি, বরং হাসিনা সরকার পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। গত দেড় দশকে কোনো বিদেশি শক্তি পারেনি আর এই আন্দোলনের মাধ্যমে বিদেশি শক্তি সরকার হটিয়েছে বলা হলে ছাত্র জনতার বিপ্লবকে অপমান করা হবে। এমন আন্দোলন ইতিহাসে কখনো হয়নি। যে আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে। এই গুলির মধ্যেই ছাত্র জনতা বুক উচিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। শেষ মুহূর্তে এসে প্রশাসনের বিবেকবান কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীর বিবেকবান সদস্যরা ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিল। এই বিপ্লব একান্তই এই দেশের মানুষের বিদেশের কোন শক্তির কোন সম্পর্ক নেই। যদি কেউ এটা বলে তাহলে বিপ্লবকে অপমান করা হবে। ’ 

বাংলাদেশের মানুষের ভারত বিরোধিতার বিষয়ে নুর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে যেভাবে সহযোগিতা করেছিল এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে খুবই কম রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই ভারতের সাথে বাংলাদেশের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। কিন্তু দুঃখজনক একটি বিষয় হলো বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ভারতের সরকার বন্ধুত্বের জায়গা থেকে সরে এসে প্রভুত্বের জায়গা দখল করে নেয়। তবে দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনো সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সংস্কৃতির সাথে আমাদের সংস্কৃতি অনেকটা মিল রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার মানুষের সাথে। কিন্তু তাদের দেশের সরকার সব সময় আমাদের উপরে কর্তৃত্ববাদী আচরণ করার চেষ্টা করে আসেছে। এটা জনগণের কাছে দৃশ্যমান হওয়ার পর তাদের মধ্যে ভারতবিরোধিতা চরম আকারে রূপ নেয়। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এ দেশের জনগণের প্রতিবাদ আমরা দেখতে পাচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য গত ১৫ বছর ধরে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য জনগণের ওপরে অত্যাচার করেছে। এই সরকারের খুঁটির জোর ছিল ভারত। ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচন আঠারোর ভোট ডাকাতি নির্বাচন এবং ২৪ সালের আরেকটি একতরফা নির্বাচনকে সমর্থন দিয়েছে ভারত। যার ফলে বাংলাদেশের মানুষ ধরেই নিয়েছে ভারত এদের জনগণের বিরুদ্ধে তারা এখানে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় রাখতে চায় তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। ’ 

তিনি বলেন, ‘তারা এশিয়াতে একটি সুপার পাওয়ার হতে চায়। তাদের বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে, তাদের মনটাকেও বিশাল করতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বৃহৎ সীমানা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দুই দেশের সুসম্পর্ক থাকাটা জরুরি। বাংলাদেশ থেকে ভারতের জন্য বেশি জরুরি আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। ভারত সরকারের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে দুই দেশের মানুষের মধ্যে যেমন হৃদয়ের সম্পর্ক, ঠিক তেমনি ভারত এবং বাংলাদেশের সরকার একটি সুসম্পর্ক তৈরি করতে হবে। ’ 

অন্তর্বর্তী সরকারে নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ছাত্র জনতার সরকার এই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি ঠিক, তবে এই সরকারের কোনো রাজনৈতিক ব্যাকআপ নেই। যার ফলে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর জন্য তাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। সেই পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন জনের সহযোগিতা নিচ্ছে তাদের দ্বারা সরকার প্রভাবিত হচ্ছে। ফলে নানা রকম ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার, ভুল কাজ হচ্ছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এটার সমাধান করতে চাই। একজন দাগি আসামি রাজনৈতিক বিবেচনায় ছাড়া পাবে এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। বিভিন্ন ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে এটাও কাম্য নয়। একজন ব্যক্তি আটক হয়েছে তাকে আইন অনুযায়ী বিচার করতে হবে। আদালতে তাকে হেনস্তা করা, হামলা করা এটা কাম্য নয়। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড এবং বাড়াবাড়ি এমন পর্যায়ে বেড়ে গেছে তা দেখে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের পুনরাবৃত্তি। আমরা ছাত্র জনতার প্রতি আহ্বান জানাবো, আগের মতো তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।  প্রশাসনকে বলবো এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। ’

সংবিধান বাতিল নাকি সংস্কার এমন প্রশ্নে নুর বলেন, ‘বর্তমান সংবিধান ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। যারা সংবিধান বিশেষজ্ঞ তারা এই সংবিধানকে গণবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সাধারণত বিপ্লবের পরে নতুন বন্দোবস্ত তৈরি হয়। আমি মনে করি, কোনো পুনলিখন বা সংস্কার নয় নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে। যেই সংবিধানের ভিত্তি হবে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি। রাজনৈতিক কর্মী, সচেতন নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী, ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে নিয়ে একটা নতুন সংবিধান রচনা করা দরকার। ’ 

নুরুল হক নুর আরও বলেন, ‘আগামী ১০ বছর পর বাংলাদেশ হবে ইউরোপ আমেরিকার মত সভ্য গণতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র হবে, যেখানে নাগরিকরা তাদের স্বাধীনতা ভোগ করবে, মুক্ত গণমাধ্যম থাকবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অকারণে কাউকে হয়রানি করবে না। এমন একটি দেশ হিসেবে দেখতে চাই। ’

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক