কেরানীগঞ্জ রণক্ষেত্র, আহত অন্তত ২০

সংগৃহীত ছবি

কেরানীগঞ্জ রণক্ষেত্র, আহত অন্তত ২০

অনলাইন ডেস্ক

কেরানীগঞ্জে এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন তারানগর ইউনিয়নের ঘাটারচর এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা এ সময় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় ও বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুর করেন।

বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা তারানগর ও আঁটি বাওয়ালের ছাত্ররা স্কুলের সামনে অবস্থান নিই। এ সময় তারানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ফারুক আমাদের কাছে আসেন। তিনি আমাদের বাধা দেবেন না এবং আমাদের কোনো ক্ষতিসাধন করবেন না বলে জানান। এরপর আমরা গত ১৯ জুলাই বিকেলে ইস্পাহানী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. রিয়াজ হোসেন মোহাম্মদপুর এলাকায় মিছিলে মাথায় গুলি লেগে মারা যায় তার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিই।

তার বাড়ি ওই ইউনিয়নের ছোট ভাওয়াল এলাকায়। আমরা বিক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজ ভাই রিয়াজের বাড়িতে রিয়াজের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের জন্য রওনা দিই। এ সময় পেছন থেকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সদস্যরা আমাদের মিছিলের পেছন থেকে গুলি ও ইটপাটকেল মারতে থাকেন। আমরা তাদের প্রতিহত করার জন্য পাল্টা হামলা চালাই।

তারা কেন আমাদের ওপর হামলা চালাল। আমরা তো শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। আমাদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের কথা হয়েছিল। তারা কেন আমাদের ওপর হামলা চালাল। এখন কোথায় পালাল, মাঠে আসুক। আমরা তো অস্ত্র ছাড়া মাঠে আছি, ওরা তো অস্ত্র নিয়ে মাঠে।

এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-যুবলীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় চর নতুন রাস্তা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

ঘাটারচর এলাকায় সকাল ১১টা থেকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক