গত একমাস ধরে পলাতক পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কুদরতি-খুদা-মিলনের ভারাটে বাহিনী ও বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায় সোমবার সকালে আত্মগোপনে থাকা ওই চেয়ারম্যান ভারাটে বাহিনী নিয়ে পরিষদে ঢুকবে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিরোধীরা সীপাহী পাড়া বাজারে অবস্থান নেন।
এ সময় হঠাৎ কিছু লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই কুদরত ই খুদা মিলনের বিরুদ্ধে জমি দখল, হয়রানি, সিন্ডিকেট, মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগ এনে আন্দোলনে নামেন বিক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা। তারা বেশ কিছু দিন থেকেই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে।
সংঘর্ষের পর বিকেলে চেয়ারম্যানের বাড়ি ও তার গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
আহতদের উদ্ধার করে তেতুঁলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। স্থানীয়রা জানায় রবিবার রাতে স্থানীয় এক বিএনপির নেতার দোকান জ্বালিয়ে দেয় চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয়রা। সোমবার সকালে প্রায় ৫ শতাধিক সমর্থক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকবে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় এ ঘটনায় ৭ জনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা কাজ করছি।
তবে চেয়ারম্যান কুদরতি-খুদা-মিলন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি এলাকায় ছিলাম না। আমার বাড়ি এবং গাড়ি পুরিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
news24bd.tv/কেআই