গত দু’দিনের ভারী বর্ষণে ডুবে গেছে বাগেরহাট শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রধান-প্রধান সড়ক, বাড়িঘরসহ নিম্নাঞ্চল। দু’দিন ধরে মোংলা বন্দরের দুটি গম ও তিনটি সারসহ ৫টি জাহাজে পণ্য খালাসের কাজ বন্ধ রয়েছে। বাগেরহাট শহরে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের ফলে বাগেরহাট শহরের রাস্তার ওপর জমে থাকা পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।
উল্টো ড্রেনের ময়লা-আবজনা সড়কে ভেসে বেড়াচ্ছে।
এছাড়া বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও মোংলা উপজেলার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে বাগেরহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। মোংলা বন্দরে জারি করা হয়েছে ৩নং সতর্ক সংকেত।
এদিকে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরা ফিশিং ট্রলারগুলো সুন্দরবনসহ উপকূলের মৎস্য বন্দরগুলোতে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানায়, ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় মোংলা বন্দরে আগত পাঁচটি বিদেশি জাহাজে গত দুদিন ধরে খাদ্যপণ্য ও সার খালাস করা সম্ভব হয়নি। এরমধ্যে দুটি গমের ও তিনটি সারের জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা সম্ভব হয়নি। সমস্যা না থাকায় বন্দরের অবস্থানরত অন্য ৭টি জাহাজ থেকে ভারী বৃষ্টির মধ্যেও পণ্য খালাস চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাট জেলায় ১৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে মোংলা আবহাওয়া অফিস। নিম্নচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আরো দুই দিন বৃষ্টিপাত অভ্যাহত থাকতে পাবে বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহওয়াবিদ হারুন অর রশিদ।
news24bd.tv/তৌহিদ