কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্রকে মেরে হল থেকে বের করে দিলো যবিপ্রবি ছাত্রলীগ

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্রকে মেরে হল থেকে বের করে দিলো যবিপ্রবি ছাত্রলীগ

যশোর প্রতিনিধি

কোটাবিরোধী আন্দোলনের সাথে থাকায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের সামিউল আলিম নামে এক শিক্ষার্থীকে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ নেতারা মারধর করে বের করে দিয়েছেন।

সোমবার (১৫ জুলাই) রাত আটটার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে মালামালসহ হল থেকে বের করে দেয়া হয়। সামিউল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে প্রতিদিন নানা কর্মসূচি পালন করছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক যুগ্ম আহ্বায়কের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৪২২নং কক্ষে যায়। এ সময় তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকায় এবং কর্মসূচিতে 'রাজাকার' বলে স্লোগান দেওয়ায় সামিউল আজিমকে মারপিট করে মালামালসহ হল থেকে বের করে দেয়।

এই ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেয়।

সেখানে তিনি বলেন, আমি কোটা আন্দোলনে শুরু থেকেই ছিলাম, আজকেও যথারীতি আমাদের কার্যক্রম করে হলে ফিরে আসি।

সন্ধ্যায় কিছু ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আমার হলে ঢুকে আমাকে জিজ্ঞেস করে এখানে কোটাবিরোধী আন্দোলন কারা করছে। আমি উত্তর দিলে বলে, রাজাকার স্লোগান‌ কেন দিয়েছিস। এরপর দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে আমাকে মারধর করে। এভাবে শিক্ষার্থীদের মেরে আন্দোলন কখনো বন্ধ করা যাবে না।

আরও পড়ুন: রাতভর সংঘর্ষে জাবিতে থমথমে পরিবেশ  

তবে মারপিট ও হল থেকে বের করে দেয়ার বিষয়টি হল প্রভোস্টকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বলে জানান সামিউল আজিম।

এ বিষয়ে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. তানভীর ইসলাম বলেন, আমি হলেই আছি। শিক্ষার্থী বের করে দেয়ার কোনো অভিযোগ আমি পায়নি।

news24bd.tv/SC