পলক-সালমান-নসরুলসহ ৫ জনের দুর্নীতি তদন্ত করবে দুদক

জুনায়েদ আহমেদ পলক লক, সালমান এফ রহমান ও নসরুল হামিদ

পলক-সালমান-নসরুলসহ ৫ জনের দুর্নীতি তদন্ত করবে দুদক

অনলাইন ডেস্ক

সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক ডাক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুসহ পাঁচজনের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কমিশন সভায় তাঁদের আর্থিক অনিয়ম অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। দুদক সচিব খেরাশেদা ইয়াসমীন সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান।  

বাকি দুজন হলেন সাবেক পরিবেশ বন ও জলবায়ুমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এবং সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।

 

দুদক সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে ঋণের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সালমান এফ রহমান। এ ছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে হাতিয়েছেন ২৫ হাজার কোটি টাকা। আটটি নতুন কোম্পানি খুলে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান সালমান এফ রহমান।

ওই বছর তাঁকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

নসরুল হামিদ বিপু, জুনাইদ আহমেদ পলক এই দুই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং অর্থ পাচারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। দুজন প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে কমিশন নিয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।  

সাবেক পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পাঁচ বছর মেয়াদি ১ হাজার ৫০২ কোটি টাকার ‘সুফল প্রকল্প’তে মন্ত্রী ও তাঁর ছেলে ১০ শতাংশ হারে কমিশন নিয়ে ঠিকাদারদের কাজ দেন।  

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে, উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থ আত্মসাতের।  

পাউবো দুর্যোগকালে ব্যবহারের জন্য প্রত্যেক সংসদ সদস্যের বিপরীতে আপৎকালীন পাঁচ কোটি টাকা করে বার্ষিক বরাদ্দ দেয়; কিন্তু ভোলা-৩ আসনে এ টাকা জনগণের কোনো কাজে লাগেনি। বরাদ্দের পুরোটাই শাওন এবং তাঁর পাঁচ সহযোগীর পকেটে গেছে। ভুয়া প্রকল্প তৈরি করে ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৩ বছরে ৬৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

news24bd.tv/আইএএম