সুদানের এল-ফাশার শহরে লড়াইয়ে ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) নিয়ন্ত্রণের বাইরে দারফুর অঞ্চলের শেষ শহর এটি। একটি মেডিকেল দাতব্য সংস্থা শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) বলেছে, এল-ফাশারে লড়াইয়ে কমপক্ষে ২২৬ জন নিহত এবং এক হাজার ৪১৮ জন আহত হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করা হলেও চলমান বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ ও স্থল যুদ্ধের মধ্যে আহতরা চিকিৎসা পায়নি।
এমএসএফের জরুরি কর্মসূচির প্রধান মিশেল-অলিভিয়ের লাচারিট বলেন, ‘এল-ফাশারের পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল। ’
সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর নেতৃত্বাধীন আরএসএফের বিরুদ্ধে সুদানের সামরিক বাহিনী প্রায় বছরব্যাপী যুদ্ধ করছে।
দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা অঞ্চলে মানবিক সহায়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা শহরে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। ১০ মে শহরটিতে তীব্র লড়াই শুরু হয়।
এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ অচলাবস্থার অবসানের দাবিতে বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তাব পাস করেছে। জাতিসংঘের অনুমান, পশ্চিম দারফুরের রাজধানী এল-জেনিনাতে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
সংস্থাটির মতে, সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও দাগলোর আরএসএফের মধ্যে ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে হাজারো মানুষ মারা গেছে এবং ৯০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের সর্বশেষ রেজল্যুশনে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার এবং সুদানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
news24bd.tv/DHL