ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের পরপরই উত্তাল জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিলো গত রোববার (৯ জুন) রিয়াসিতে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে সন্ত্রাসী হামলার মধ্যে দিয়ে।
রিয়াসির সেই ঘটনায় সন্ত্রাসীদের অতর্কিতে হামলায় বাস খাদে পড়ে যায়। এতে ৯ জন তীর্থযাত্রী নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৪১ জন আহত হন।
এই ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জম্মু ও ডোডায় সন্ত্রাসী হামলা হয়। ডোডার পর কাথুয়াতে মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে সন্ত্রাসবাদীরা একটি গ্রামে গুলি চালায়। তারপর শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের গুলির লড়াই।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, একজন সন্ত্রাসবাদী রাতেই মারা যায়।
পুলিশ বলেছে, সন্ত্রাসবাদীরা ওই গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে পানি চায়। সেটা দেখে কিছু গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। তারা পুলিশকে খবর দিলে সন্ত্রাসীরা গুলি চালাতে শুরু করে।
পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি আনন্দ জৈন বলেন, তিনজন গ্রামবাসী মারা গেছেন বলে শোনা যাচ্ছিলো। যদিও কেউ নিহত হননি বলে পরে জানা যায়। কিন্তু এই ঘটনায় একজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
এদিকে ডোডায় ছাতারগালা এলাকায় সেনা ছাউনিতে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি দলের উপর সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায়। তারপরই সন্ত্রাসবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময় চলতে থাকে। সন্ত্রাসবাদীরা পাহাড়ের উপরের দিকে থাকায় বাড়তি সুবিধা পায়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ গুলিবিনিময় চলে।
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন মোটামুটি নির্বিঘ্নে হলেও ফলাফল প্রকাশের পর থেকে জঙ্গিদের পরপর তিনটি জায়গায় হামলার ঘটনা প্রশাসনকে উদ্বিগ্ন করছে। তার ওপর তিনটি ঘটনাই জম্মু এলাকায় ঘটে।
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাকিস্তান-ভিত্তিক জইশে মুহাম্মদের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন কাশ্মীর টাইগার্স ডোডারে আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে এখনো মোদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি। (সূত্র: এনডিটিভি)
news24bd.tv/SC